রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে রোববার দুপুরে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোট হতে পারে।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে কমিশন সভা হয়।
ঢাকা ও চট্টগ্রামে সিটি ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের বৈঠক শুরু হয়েছিল। ওইদিন কমিশন সভা সন্ধ্যায় মুলতবি করা হয়। রোববার সকালে ওই মুলতবি সভাটিই অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে সচিব আলমগীর বলেন, “নভেম্বরের ১৮ তারিখের পর যেকোনো দিন এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। চলতি ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।”
“যেহেতু এখনও সময় হয়নি তাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিরবাচন বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। মার্চের শেষ বা তার পরে নতুন ভোটার নিয়ে হালনাগাদ তালিকার মাধ্যমে এ সিটিতে ভোট হবে।”
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়।
সে হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত, আর দক্ষিণে একই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত। আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।
আগামী জানুয়ারিতে হালনাগাদ করা নতুন ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের সময় নির্ধারিত রয়েছে। সেক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। জানুয়ারিতে ভোট হলে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন না।
এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রাম সিটি ভোটের সময়সূচি নির্ধারণ করবে কমিশন।
সিটি নির্বাচনে কোনো আইনী জটিলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসি সচিব মো. আলমগীর বলেন, “কোনো আইনী জটিলতা আমরা এখনও দেখছি না।”
ইভিএমের মাধ্যমে দুই সিটি ভোট চ্যালেঞ্জ মনে করছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “চ্যালেঞ্জ তো বটেই। তবে আমরা এ নির্বাচন আয়োজনে সক্ষম।”
এ নির্বাচন আয়োজনের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পেয়েছেন বলেও জানান সচিব।
ভোটের সময় ও ইভিএম নিয়ে কোনো দল আপত্তি জানালে তখন কি করবেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, “এই বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।”