দুদকে এসে পিঠা খেয়ে গেলেন সাকিব

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে দেখা করেছেন ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির সদ্য সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2019, 08:51 AM
Updated : 3 Nov 2019, 11:43 AM

রোববার সকাল পৌনে ১১টায় দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব সেগুনবাগিচার কার্যালয়ে গিয়ে প্রায় ৪৫ মিনিট অবস্থান করেন বলে দুদকের মুখপাত্র প্রনব কুমার ভট্টাচায্য জানিয়েছেন।

দুদকের পরিচালক নাসিম আনোয়োর প্রধান ফটক থেকে সাকিবকে স্বাগত জানিয়ে তিন তলায় দপ্তরে নিয়ে যান। সাংবাদিকদের সামনে পড়লেও সাকিব কোনো কথা বলেননি।

দুদকের একাধিক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, সাকিবকে পিঠা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। পরে পাঁচতলায় দুদক চেয়ারম্যানের কক্ষে তিনি ৩০ মিনিটের মত অবস্থান করে বেরিয়ে যান।

সাকিবের দুদকে আসার কারণ জানতে চাইলে দুদকের মুখপাত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সাকিব ২০১৮ সাল থেকে দুদকের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে কাজ করছেন। পূর্বনির্ধারিত একটি বিষয়ে চেয়ারম্যান স্যারের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি এসেছিলেন।

সাকিবের সঙ্গে দুদক চেয়ারম্যানের আলোচনার বিষয়বস্তু বা এ সাক্ষাতের সঙ্গে ক্রিকেটে সাকিবের নিষিদ্ধ হওয়ার কোনো সম্পর্ক আছে কিনা সেবিষয়ে দুদকের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে চাননি।

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গোপন করায় সাকিব আল হাসানকে গত ২৯ অক্টোবর দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি, যার মধ্যে এক বছরের শাস্তি দোষ স্বীকার করায় স্থগিত থাকবে।

এই শাস্তির ফলে আপাতত ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটে মাঠে নামতে পারবেন না বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার। এর অর্থ হল, আগামী বছর অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন না সাকিব।

প্রথম এক বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটানোর সময়ে নতুন করে কোনো আইন না ভাঙলে পরবর্তী এক বছরের শাস্তি থেকে তিনি রেহাই পাবেন। সেক্ষেত্রে ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবরের পর আবার মাঠে ফেরার সুযোগ পাবেন সাকিব।

নিষেধাজ্ঞার পর সাকিবের বিষয়ে একটি গণমাধ্যমে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সাকিবের ঘটনা ‘দুঃখজনক’, ভুল স্বীকার করেছে সে ‘উচ্চ নৈতিকতার’ পরিচয় দিয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমে সাকিব আগের মতোই পাশে থাকবেন বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।