ঢাকা-চট্টগ্রাম সিটি ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বসছে ইসি

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বসছে নির্বাচন কমিশন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2019, 06:53 PM
Updated : 30 Oct 2019, 06:53 PM

বৃহস্পতিবার কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ইসির ৫৩তম সভার আলোচ্যসূচিতে এই নির্বাচনগুলো রয়েছে।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন অনুযায়ী, পাঁচ বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার ১৮০ দিন আগে যে কোনো সময় ভোট করতে হবে।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল একসঙ্গে ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়।

 ঢাকা উত্তর সিটিতে প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে ও চট্টগ্রাম সিটিতে প্রথম সভা হয় একই বছরের ৬ আগস্ট। ঢাকা উত্তরের ক্ষেত্রে এই মেয়াদ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে পর্যন্ত; আর দক্ষিণে ওই বছরের ১৬ মে পর্যন্ত। চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের জুলাইয়ে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট  মন্ত্রণালয়ের সায় রয়েছে। এখন ভোট করার বিষয়ে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা, মেয়াদোত্তীর্ণের আগের সময় পরীক্ষা সূচি সার্বিক প্রস্তুতির তথ্য উপস্থাপন করা হবে। সব পর্যালোচনা করে উপযুক্ত সময় বিবেচনা করবে ইসি।

তিন সিটিতে এক দিনে ভোট হবে, নাকি ঢাকায় একদিন, চট্টগ্রামে আলাদা দিনে ভোট হবে তাও আলোচনা করে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।

তিন সিটিতে ইভিএমে ভোট করার পরিকল্পনাও রয়েছে কমিশনের।

জানুয়ারিতে হালনাগাদে নতুন ভোটারদের খসড়া তালিকা প্রকাশের সময় নির্ধারিত রয়েছে। নতুনদের নিয়ে ভোট করতে গেলেও দেরি করতে হবে।

সেক্ষেত্রে ৩১ জানুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারিতে, এইচএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ভোটের সময়সূচি নির্ধারণ করবে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. আলমগীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের জন্য মধ্য মে এবং চট্টগ্রামের জন্য মধ্য জুলাই পর্যন্ত সময় রয়েছে, যা পর্যাপ্ত।

সভার আলোচ্যসূচিতে আরও যা আছে

বৃহস্পতিবারের কমিশন সভায় তিন সিটির ভোট প্রস্তুতি ছাড়াও জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০১৯ এর খসড়া পুনর্বিবেচনা, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণ, উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন, স্থানীয় সরকারের অন্যান্য নির্বাচন, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন বিষয়ক নির্দেশনা এবং বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রতিবেদন ও প্রামাণ্য চিত্র তৈরি।