ফিরোজের বিরুদ্ধে আড়াই কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলা

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যে গ্রেপ্তার কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সভাপতি সফিকুল আলম ফিরোজের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Oct 2019, 01:42 PM
Updated : 30 Oct 2019, 01:42 PM

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সমিতি বায়রার জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-৫ (শাহরাস্তি-হাজীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনি।

বুধবার কমিশনের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ দুদকের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন বলে সংস্থার মুখপাত্র ও উপ-পরিচালক প্রনব কুমার ভট্টাচায্য জানিয়েছেন।

‘জাহরাত অ্যাসোসিয়েটসের’ মালিক ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, তিনি অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৬৮ লাখ দুই হাজার ৬৩৯ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

এহাজারে বলা হয়, “সফিকুল আলম সর্বশেষ ২০১৭-১৮ করবর্ষ পর্যন্ত এক কোটি ৪০ লাখ ৪২ হাজার ৪৭০ টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছেন। এই সম্পত্তি অর্জনের স্বপক্ষে কোনো বৈধ আয়ের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার সম্পত্তি মূল্য অনেক বেশি হবে।

“এছাড়া ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় তার নামে-বেনামে আরও স্থাবর সম্পদ রয়েছে মর্মে গোপনসূত্রে তথ্য পাওয়া যায়। তদন্তকালে তা খতিয়ে দেখা হবে।”

অনুসন্ধানের তথ্য-প্রমাণের কথা উল্লেখ করে মামলায় বলা হয়, “আসামি সফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন এবং ধানমন্ডি ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য তিনি এককালীন ৬০ লাখ টাকা প্রদান করেছিলেন মর্মে জানা যায়। তার স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে বলে জানা যায়।

“এছাড়া তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ দ্বারা দেশে ও বিদেশে নামে-বেনামে প্রচুর পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। মামলা তদন্তকালে এসব অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে আমলে নেওয়া হবে।”

গত ২০ সেপ্টেম্বর কলাবাগান ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ফিরোজসহ পাঁচজনকে অস্ত্র-গুলি ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরদিন অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে র‌্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে।