ভোলার ঘটনার নেপথ্যে কারা, জানা যাবে ‘শিগগির’: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

হিন্দু যুবকের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ‘অবমাননাকর’ বক্তব্য ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘাতের পেছনে কে বা কারা ইন্ধন যুগিয়েছিলেন, তা ‘শিগগিরই’ প্রকাশ করা হবে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Oct 2019, 01:26 PM
Updated : 27 Oct 2019, 01:28 PM

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় আমরা কয়েকজনকে আটক করেছি। হ্যাকার হোক আর যে হোক, ঘটনা যে ঘটিয়েছে ব্যবস্থা গ্রহণ করছি এবং করব।

“কে ঘটনাটি ঘটিয়েছে, কে নেতৃত্বে দিয়েছে, তাদের কী উদ্দেশ্য ছিল- সব কিছু একে একে খুব শিগগির আপনাদের সম্মুখে হাজির করব।”

এক হিন্দু তরুণের ফেইসবুক আইডি ‘হ্যাক’ করে ‘ধর্মীয় অবমাননাকর’ পোস্ট ছড়ানোর পর গত ২০ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনের ঈদগাঁ মাঠে সমাবেশ ডেকেছিল ‘মুসলিম তৌহিদী জনতা’। ওই সমাবেশ থেকে পুলিশের উপর হামলার পর চলে গুলি, নিহত হন চারজন।

দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্যই এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে মনে করছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল।

তিনি বলেন, “আমার কাছে মনে হয়েছে, যখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আজকে পথ হারানোর জন্য, একটি অকার্যকর বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য এ ধরনের প্রচেষ্টা আপনারা দেখেছেন।

“এদেশের জনগণ এসব জিনিস পছন্দ করেন না, কোনো দিন জনগণ সন্ত্রাস ও জঙ্গিদেরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না।সেজন্য আজকে সম্ভবানাময় বাংলাদেশ হয়েছে।”

পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মনে করছেন কি না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পুলিশ সদরদপ্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। আপনারা যে কথা বলছেন আমরা মনে করি সে রকম একটা কিছু। কিন্তু যেহেতু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে, পরীক্ষার আগে কিছু বলব না।”

এ সময় চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ লক্ষ্য নিয়েও কথা বলেন আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেটা বিশ্বাস করেন, সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের জন্য সাসটেইনবল সিকিউরিটি দরকার। তিনি সেজন্য আজকে যে শুদ্ধি অভিযানের কথা বলেন কিংবা দুর্নীতিবাজদের তিনি চিহ্নিত করেছেন।

“তার কারণ হল, তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন। তিনি আজকে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন তখন সুশাসন যদি প্রতিষ্ঠিত না হয় তাহলে আমরা হয়ত আবারও পথ হারাব। সেজন্য তিনি সুশাসন প্রতিষ্ঠা করছেন।”

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কামান্ডের ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই অনুষ্ঠানে সেক্টর কামান্ডার আবু ওসমান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুব উদ্দিন, খালেদ মোশারফ বীর উত্তম ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মাহজাবিন খালেদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মেহেদী হাসান ও সংসদ সদস্য মৃনাল কান্তি দাস বক্তব্য দেন।