ঢাকার খিলগাঁওয়ের তারাবাগে বাবা-ছেলে খুনের মামলায় খালেদকে সাত দিন রিমান্ডের আদেশ বুধবার দিয়েছেন ঢাকার মহানগর হাকিম বিচারক আতিকুল ইসলাম।
এই সাত দিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের হেফাজতে রেখে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে র্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো ধরা পড়ার পর তা পরিচালনায় জড়িত খালেদকে ওই দিনই গ্রেপ্তার করা হয়।
খালেদ ছিলেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি।
গ্রেপ্তারের পর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে তিনটি মামলা হয়; ওই সব মামলায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ।
এরপর বুধবার তাকে খিলগাঁও থানার পুরনো হত্যামামলাটিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যান ওই মামলার তদন্তকর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাবাগের আনোয়ার হোসেনের বাড়ির গেইটের সামনে ইসরাইল হোসেন এবং তার ছেলে শরীফ হোসেন সায়মনকে গুলি করে ৩৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ সায়মন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং তার বাবা ইসরাইল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মারা যান।
খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ইসরাইল তার প্রতিষ্ঠান ‘রাজধানী মানি এক্সচেঞ্জ’ থেকে দিনের লেনদেন শেষ করে ৩৮ লাখ টাকা ব্যাগে করে প্রাইভেটকারে বাসায় ফিরছিলেন। পথে তারা হামলার মুখে পড়েন।
ঘটনায় পরদিন ইসরাইলের বড় ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
এই মামলায় ২০১৬ সালে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআইর রিমান্ড আবেদনে এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়।
খালেদ কিভাবে এই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত, তা পিবিআইর আবেদনে স্পষ্ট হয়নি।
খালেদের বেড়ে ওঠা খিলগাঁওয়ের পাশের শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে। তার বিরুদ্ধে অপরাধকর্মের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।
তিনি এক সময় যুবদলে যুক্ত ছিলেন, ২০১৩ সালে তিনি যুবলীগের কমিটিতে আসেন।