দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ মধ্যে সম্প্রতি ধরা পড়েছেন উত্তর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিব। আত্মগোপনে রয়েছেন কয়েকজন।
মিজানের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজি এবং রাজিবের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগ থাকার কথা জানিয়েছে র্যাব।
গুলশানে ডিএনসিসির কার্যালয়ে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিক বলেন, “দুর্নীতিতে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
“বাড়ি দখল, ফুটপাত নিয়ে বাণিজ্য বা অন্য যেকোনো ধরনের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রচলিত আইনের পাশাপাশি সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী ওই কাউন্সিলরকে বহিষ্কারের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে।”
পরপর তিনটি সাধারণ সভায় অনুপস্থিত থাকায় ডিএনসিসির নয়জন কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে বলেও জানান মেয়র।
মশক নিধনে বছরব্যাপী কার্যক্রম নিয়ে ডিএনসিসির এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আতিকুল ইসলাম বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে কিছু কাউন্সিলরের আন্তরিকতার অভাব দেখা গেছে।”
তাদেরকে উদ্দেশ্য করে মেয়র বলেন, “জণগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের প্রতি আপনাদের দায়বদ্ধতা আছে। এজন্য তাদের জন্য কাজ করুন।”
তিনি জানান, গত ৭ অক্টোবর থেকে কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে দুইজন পরামর্শক ও ১০ জন শিক্ষানবিশ কীটতত্ত্ববিদ নিয়োগ করা হয়েছে।
চিহ্নিত প্রজননস্থলে তাদের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ কাজ কতটা সফল হয়েছে তা জানতে ২০ অক্টোবর থেকে আবার মশার প্রজননস্থল চিহ্নিত করতে জরিপ চালানো হচ্ছে।
৩৪২টি স্থানে জরিপ চালিয়ে ২১৫টি স্থানে অতি উচ্চমাত্রায় মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এছাড়া ১৭৫টি স্থানে উচ্চমাত্রায়, ১৬৭টি স্থানে মাঝারি এবং ৭৮টি স্থানে কম মাত্রায় মশার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে মেয়র বলেন, ডিএনসিসির ২০, ২৮, ১১, ৫, ৩১, ৩২, ৩৩ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মশার উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে।
মশক নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম বাড়াতে এসব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান আতিক।