মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ২টা পর্যন্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে এসব বই জব্দ করা হয় বলে র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামুদ্দীন আহমেদ জানান।
র্যাব-১০ এর উপঅধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান বলেন, ওই স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি বই নেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরের জন্য যে পরিমাণ বই চাওয়া হয়েছিল, তার প্রায় ২৫ হাজার বই বিতরণ করা হয়নি।
"বিতরণ না হলে সেগুলো বোর্ডের কাছে ফেরত দেওয়ার কথা। কিন্তু সেটা করা হয়নি। আমরা প্রায় ১৬ হাজার বইয়ের মজুদ পেয়েছি স্কুলের স্টের রুমে।"
এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এসব বই কেজি দরে বিক্রি করে আসছিল। পলিথিন দিয়ে ঢেকে ভ্যান গাড়িতে করে স্কুল থেকে বই সরানোর সময় গত ১৯ অক্টোবর এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে।
এর সূত্র ধরেই র্যাব মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলে অভিযান চালিয়ে বইয়ের মজুদ পায়।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আফসানা মির্জা সাংবাদিকদের বলেন, “অনিয়ম হয়েছে ঠিক, যেমন স্বাক্ষর করে রাখি নাই। সঠিক পথে কাজটা হয়নি।এজন্য আমি বলছি যে আমার এটা অন্যায় হয়েছে।"
বইগুলো জেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে দেওয়া হবে জানিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজামুদ্দীন বলেন, “পুরো বিষয়টির তদন্ত করে দেখা হবে। যারা বইগুলো বিতরণ না হওয়ার পেছনে দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করব।”