থমথমে বোরহানউদ্দিন স্বাভাবিক হচ্ছে

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে চারজন নিহতের পর থমথমে পরিস্থিতি কাটিয়ে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদর।

মাসুম বিল্লাহ ভোলা থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 05:51 PM
Updated : 22 Oct 2019, 05:51 PM

সেখানকার জীবনযাত্রা অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও চাপা আতঙ্কে ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না অনেকে।

মঙ্গলবার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্বাভাবিক পরিস্থিতিই লক্ষ্য করা গেছে। বোরহানউদ্দিন বাজার, মানিকা বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে দোকানপাটও খুলেছে স্বাভাবিক নিয়মে।

সংঘর্ষের ঘটনায় চার থেকে পাঁচ হাজার জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করায় পুলিশ গণহারে গ্রেপ্তারের দিকে যেতে পারে, এমন আতঙ্ক আছে কারো কারো মধ্যে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোরহানউদ্দিন বাজারে কথা হয় পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাউদ্দিনের সঙ্গে। জীবনযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে আতঙ্ক বিরাজ করার কথাও জানান তিনি।

আলাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্ম অবমাননার কারণে নানা বয়সী সবাই সমাবেশে গেছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতি হবে, অনেকে ভাবেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গ্রেপ্তার আতঙ্ক তো আছেই।”

রোববারের ঘটনার পর সোমবার কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও মঙ্গলবার সেগুলো খুলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

অন্যান্য দিনের মঙ্গলবারও বোরহানউদ্দিনে মোতায়েন ছিল বিজিবি। সেখানে তাদের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যদের টহল দিতে দেখা গেছে।

জেলার সব মন্দির ও হিন্দু এলাকায় পুলিশের নজরদারি রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার।

কটূক্তির অভিযোগের মুখে থাকা বিপ্লব চন্দ্র শুভর ফাঁসিসহ ছয় দফা দাবিতে সর্বদলীয় মুসলিম ঐক্য পরিষদের ডাকা মঙ্গলবার থানায় থানায় বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়নি।

পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব মাওলানা মিজানুর রহমান বলেন, “পুলিশ বিভিন্ন জায়গা থেকে আমাদের নেতাকর্মীদের আসতে বাধা দিয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আমরা আমাদের থানায় থানায় কালো পতাকা মিছিল স্থগিত করেছি।”

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বোরহানউদ্দিনের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগ ভোলার উপ-পরিচালক মামুদুর রহমান সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ”আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি। তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তবে আরো দু-এক দিন বেশি লাগতে পারে।”