উপাচার্য মীজানের বক্তব্য প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

উপাচার্য মীজানুর রহমানের এক বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘হেয় প্রতিপন্ন’ করা হয়েছে অভিযোগ করে তা প্রত্যাহারের দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন একদল শিক্ষার্থী।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2019, 04:13 PM
Updated : 22 Oct 2019, 04:22 PM

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই মানববন্ধন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্য থেকে উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগেরও দাবি জানানো হয়।

দায়িত্ব পেলে উপাচার্যের পদ ছেড়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান হতে রাজি আছেন বলে অধ্যাপক মীজানুরের বক্তব্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই গত রোববার দুটি দৈনিক পত্রিকায় তার আরেকটি বক্তব্য প্রকাশিত হয়, যার সমালোচনা করছেন শিক্ষার্থীরা।  

মীজানুর রহমানকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে লেখা হয়, “আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি না। আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী না। আমি এখানকার নিয়োগকর্তা। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইনে রাজনীতি করার নিয়ম আছে। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা রাজনীতিতে জড়িত, তাদের সঙ্গে কথা বলেন।”

উপাচার্য মীজানুর রহমান

তার এই বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, “তিনি বিশ্ববিদ্যালয়কে হেয় করে বক্তব্য দিতে পারেন না। ভবিষ্যতে উপাচার্য ও ট্রেজারার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভেতর থেকে নিয়োগ দিতে হবে। বাইরের কাউকে ভাড়া করে নেওয়া যাবে না।”

জরুরী ভিত্তিতে প্রো-ভিসি নিয়োগের দাবিও তোলেন তারা।

জরুরী ভিত্তিতে প্রো-ভিসি নিয়োগের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “ভিসি স্যারের কাছে কোনো কাজের জন্য গেলে তিনি বলেন, আমি একা সব কাজ কীভাবে করব? তাহলে তিনি প্রো-ভিসি কেন নিয়োগ দিচ্ছেন না?”

আগামী রোববারের মধ্যে উপাচার্যকে বক্তব্য প্রত্যাহারের সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। তা না হলে সোমবার থেকে আরও বড় কর্মসূচি দেওয়ার হুমকি দেন তারা।

এ সময় রাত ১০টার পরে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং সাবেক শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

গত ১০ অক্টোবর ক্লাস চলাকালীন সময়ে দর্শনার্থী ও বর্তমানে শিক্ষার্থী নয় এমন ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার আগে গত সেপ্টেম্বরে রাত সাড়ে ১০টার পর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।