নদীর জায়গা দখল করে তৈরি এসব ভবন উচ্ছেদে প্লট ও ফ্ল্যাটগ্রহিতার ক্ষতির কথা চিন্তা করে মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) অভিযানে ঢাকার বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী ও বালু নদী থেকে ১৭ হাজার ৯০১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রায় ৬৬৯ একর জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
“উক্ত অপসারণকাজ পরিচালনার সময় লক্ষ্য করা গেছে যে, বহু বেসরকারি হাউজিং সোসাইটি নদীর জায়গা দখল করে লিজ গ্রহীতাদের প্রতারিত করে প্লট কিংবা ফ্ল্যাট বরাদ্দ করেছে। এসব স্থাপনা অপসারণ করার ফলে সেসব প্লট/ফ্ল্যাট গ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।”
তাই নদী তীরবর্তী এ ধরণের হাউজিং প্রতিষ্ঠান থেকে প্লট বা ফ্ল্যাট বরাদ্দ নিয়ে প্রতারিত না হতে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, উচ্ছেদ অভিযান চালাতে গিয়ে দেখা যায়, অনেক হাউজিং কোম্পানি নদীর জমি দখল করে প্লট বা ভবন তৈরি।
“আমিন-মোমিন হাউজিং, অনির্বাণ, আকাশ-নীল, সিলিকন সিটি, বসিলা হাউজিং, চন্দ্রিমা হাউজিং, একথা হাউজিং, ঢাকা উদ্যান, মধু সিটি, আফসানা হাউজিং নদীর জমি ভরাট করে এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
আমিন-মোমিনের দখলকৃত জমি উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে অনির্বাণ, আকাশ-নীল ও সিলিকন হাউজিংয়ের নদী দখলমুক্তের কাজ চলছে।
“আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, এ ধরনের হাউজিং থেকে অনেকে প্লট বা ফ্ল্যাট ক্রয়ের চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রতারিত হয়েছেন।”