জাকির হোসেন (৪৫) নামে এই ব্যবসায়ীর গলিত লাশ সোমবার বিকালে পুলিশ উদ্ধার করে। তিনি মাল্টিপারপাস কোঅপারেটিভ ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। সবুজবাগ এলাকার দক্ষিণগাঁওয়ে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে থাকতে তিনি।
জাকিরের স্ত্রী কুলসুম বেগম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৪ অক্টোবর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি তার স্বামী। পরদিন ঝিলের পাড়ে জাকিরের মোবাইল ফোন এবং স্যান্ডেল পাওয়া গিয়েছিল।
আশপাশে খোঁজ করেও সন্ধান না পাওয়ার পর ১৬ অক্টোবর থানায় গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে জানান কুলসুম।
তিনি বলেন, জাকির বেশ কিছুদিন আগে তার ব্যবসা বন্ধ করে বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করে।
লেনদেন নিয়ে কিছু ব্যক্তির সঙ্গে স্বামীর বিরোধ ছিল বলে জানান কুলসুম।
“জাকির বিভিন্নজনের কাছে অনেক টাকা পেতেন। অনেকে জীবননাশের হুমকিও দিয়েছিল। প্রায় তিন মাস আগে তাকে ছুরিকাঘাতও করা হয়েছিল।”
খুনের বিষয়ে কাউকে সন্দেহ করেন কি না- জানতে চাইলে এই নারী বলেন, “এটা আমার ধারণা নাই। তবে এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।”
খিলগাঁও থানার ওসি মশিউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জাকির নিখোঁজ হওয়ার পরদিন তার স্ত্রী থানায় এসে জিডি করেন। তখন স্থানীয় লোকজনকে ঝিলে নামিয়ে খোজাখুঁজি করেও কিছু পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানায়, হত্যার পর জাকিরকে পানির নিচে সিমেন্টের ঢালাই করা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছিল। ধীরে ধীরে তা ভেসে ওঠে। বিকালে স্থানীয়রা দেখার পর থানায় খবর দেয়।
লাশের গলায় তার পেঁচানো ছিল বলে জানান ওসি।
হত্যাকারী কারা, সে বিষয়ে এখনও কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি বলে জানান মশিউর। তিনি বলেন, অপরাধীদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা চলছে।