আইনজীবী সহকারী মোবারক হত্যায় ১২ জনের প্রাণদণ্ড

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে চার বছর আগে একটি প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর বানানো নিয়ে বিরোধের জেরে ঢাকার আইনজীবী সহকারী মোবারক হোসেন ভূঁইয়াকে হত্যার ঘটনায় ১২ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2019, 07:05 AM
Updated : 21 Oct 2019, 07:47 AM

ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. মনির কামাল সোমবার এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-মো. মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া ওরফে মাহাবুব, মো. মোজাম্মেল হক ওরফে বাদল ভূঁইয়া, আফজাল ভুঁইয়া, ইমদাদুল হক ওরফে সিকরিত ভূঁইয়া, নয়ন ভূঁইয়া, দোলন ভূঁইয়া ওরফে ধুলো, রুহুল আমিন, চিকন মিয়া, সুলতানা আক্তার, দেলোয়ার হোসেন দীলিপ, বিধান সন্ন্যাসী ও নিলুফা আক্তার।

এই ১২ আসামির মধ্যে প্রথম আটজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক। তাদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ সাজার পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

এ মামলার ১৫ আসামির মধ্যে পলাতক তাসলিমা আক্তার ও শামীম ওরফে ফয়সাল বিন রুহুলকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে রায়ে। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জয়নাল আবেদীন নামে একজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর গোথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে মোবারক হোসেনকে বল্লম মেরে হত্যা করা হয়।

গোথালিয়া ভূঁইয়াবাড়ীর ইশাদ ভূঁইয়ার ছেলে মোবারক ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য। মৃত্তিকা প্রতিবন্ধী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।

মোবারকের পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে আসামিদের বিরোধ ছিল। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করা হয় বলে এ মামলার বিচারে উঠে আসে।

হত্যাকাণ্ডের পর মোবারকের ছোট ভাই আইনজীবী মোজাম্মেল হক ভূঁইয়া বাজিতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ পরিদর্শক মকবুল হোসেন মোল্লা ২০১৭ সালের ২ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সেখানে ১৬ জনকে আসামি করা হলেও তাদের মধ্যে একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচারের বিষয়টি চলে যায় শিশু আদালতে।

ওই বছর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ১৫ আসামির বিচার শুরু হয়।

বিচারকালে বাদীপক্ষের ৩১ জন সাক্ষীর মধ্যে মোট ২৩ জন সাক্ষ্য দেন। গত ১৭ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত ২১ অক্টোবর রায়ের দিন ঠিক করে দেয়।