গ্রেপ্তাররা হলেন- মুফতি সাইফুল ইসলাম (৩৪), সালিম মিয়া (৩০), জুনায়েদ (৩৭) ও আহম্মেদ সোহায়েল (২১)।
এই চারজনের মধ্যে সাইফুল এবং জুনায়েদ মাদ্রাসার শিক্ষক, সোহায়েল ছাত্র এবং সালিম একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী।
সোমবার কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক বলেন, রোববার রাতে সংগঠনের লিফলেট, জঙ্গি মতবাদের বই ও চাপাতিসহ ওই চারজনকে তারা গ্রেপ্তার করেন।
সাইফুল ইসলামকে মানিকগঞ্জ জেলার আনসার আল ইসলামের একজন ‘শীর্ষ জঙ্গি’ হিসেবে চিহ্নিত করে র্যাব অধিনায়ক বলেন, ছাত্রজীবনে হরকাতুল জিহাদে জড়িয়ে পড়া সাইফুল ঢাকার উত্তর বাড্ডায় একটি নৈশ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে আসছিলেন।
“হরকাতুল জিহাদ নিষিদ্ধ হলে সে তৎপরতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু তার মন মানসিকতায় পরিবর্তন আসেনি। এক পর্যায়ে সে তার এক ছাত্রের মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগ দেয় এবং বই, লিফলেট, ভিডিও প্রচারের পাশাপাশি গোপনে কর্মী সংগ্রহ শুরু করে।”
জুনায়েদ সাভারের হেমায়েতপুরের একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এবং শিক্ষক বলে জানানো হয় র্যাবের সংবাদ সম্মেলনে।
মোজাম্মেল হক বলেন, জুনায়েদও ছাত্রজীবনে হরকাতুল জিহাদের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই সংগঠন নিষিদ্ধ হলে তিনি নিজেকে আড়াল করে ২০১৪ হেমায়েতপুরের মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন।
“ওই মাদ্রাসায় বসে তিনি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন এবং এক পর্যায়ে সাইফুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে সাইফুলের মাধ্যমেই চলতি বছরের শুরুর দিকে আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন জুনায়েদ।”
গ্রেপ্তার সোহায়েল একটি মাদ্রাসার ছাত্র। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে আনসার আল ইসলামের সঙ্গে জড়িত বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
র্যাব কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, “এ সংগঠনে ঢোকার পর সাইফুলের সঙ্গে সোহায়েলের ঘনিষ্ঠতা হয়। পরে সে সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পায়।”
হাজারীবাগের বাসিন্দা সালিম একটি লিফট সরবারহকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ফেইসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে সালিম জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যুক্ত হন। তার দায়িত্ব ছিল জঙ্গি মতবাদের বই নতুন কর্মীদের কাছে সরবরাহ করা।
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, সালিমের সঙ্গে যার ফেইসবুকে যোগাযোগ হত, তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তাকেসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।