রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মো. গিয়াস উদ্দিন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মিজানের চিকিৎসার আবেদন করলে কারা কর্তৃপক্ষকে কারাবিধি অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার আদেশ দেন বিচারক।
গত ১২ অক্টোবর হাবিবুর রহমান মিজানতে সাতদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। হত্যা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগের সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার নাম।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের চলমান ‘শুদ্ধি অভিযানের’ মধ্যে হঠাৎ করেই লাপাত্তা হন ক্ষমতাসীন দলের নেতা মিজান। ভারতে পালানোর চেষ্টায় থাকা মিজানকে ১১ অক্টোবর রাতে শ্রীমঙ্গল থেকে আটক করে র্যাব। সে সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করে র্যাব।
পরে তাকে ঢাকায় এনে র্যাব-২ এর পক্ষ থেকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় তার বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচার আইনে মামলা করা হয়। মিজানকে সঙ্গে নিয়ে তার বাসায় তল্লাশি চালায় র্যাব।
ঢাকার মামলা ছাড়াও শ্রীমঙ্গল থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।