সাগর-রুনি হত্যা: মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাই কোর্টে তলব

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2019, 10:37 AM
Updated : 20 Oct 2019, 10:37 AM

মামলার নথি (সিডি) নিয়ে আগামী ৬ নভেম্বর বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাবের সহকারী পরিচালক এএসপি মহিউদ্দিনকে হাজির হতে বলা হয়েছে।

এ হত্যা মামলার আসামির তালিকা থেকে নাম প্রত্যাহার চেয়ে তানভীর রহমানের নামের এক ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে রোববার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ আদেশ দেয় ।

আবেদনকারীর ক্ষেত্রে ওই মামলার কার্যক্রম কেন বাতিল করা হবে না- তা জানতে চেয়ে দুই সপ্তাহের রুলও জারি করেছে আদালত।

আদালতে তানভীরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ; রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।

ফাওজিয়া পরে সাংবাদিকদের বলেন, “এখন পর্যন্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। আমাদের প্রার্থনা ছিল- এই ব্যক্তি কত বছর আদালতে ঘুরবে। এ কারণে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া উচিত; দ্রুত বিচার শুরু হওয়া উচিত। না করতে পারলে তাকে (তানভির রহমানকে) অব্যাহতি দেওয়া উচিত।

“এটা শুনে আদালত ৬ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তাকে মামলার সম্পূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে আদালতে আসতে বলেছেন।’

প্রায় আট বছরে পুলিশ ও র‌্যাবের ছয়জন কর্মকর্তার হাত ঘুরলেও শেষ হয়নি সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত।

সাগর-রুনি (ফাইল ছবি)

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনি। দুজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ওই রাতে তারা ছাড়া ঘরে ছিল তাদের একমাত্র শিশুসন্তান।

হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই মো. নওশের আলম রোমানের করা মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জহুরুল ইসলাম। তার কাছ থেকে তদন্তের দায়িত্ব গিয়েছিল ডিবির পরিদর্শক রবিউল আলমের কাছে।

৬২ দিন পর ডিবি আদালতের কাছে ব্যর্থতা স্বীকার করলে ২০১২ সালের এপ্রিলে তদন্তের দায়িত্বে আসে র‌্যাব। এরপর র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার হাত ঘুরে তদন্তভার আসে র‌্যাব কর্মকর্তা মহিউদ্দিনের কাছে।

তবে এ পর্যন্ত আদালত থেকে ৬০ বারের বেশি সময় নিয়েও তদন্তের অগ্রগতির প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি কর্মকর্তারা।

সর্বশেষ গত ১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস ১৪ নভেম্বর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন দিন ঠিক করেন।

এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন- ওই বাড়ির নিরাপত্তা রক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ ও আবু সাঈদ।

রুনির কথিত বন্ধু তানভীর রহমানকে ২০১২ সালের ১ অক্টোবর গ্রেপ্তার করা হয়। দুই বছর কারাগারে থাকার পর ২০১৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর জামিন পান তিনি।

যে বাড়িটিতে সাগর-রুনি খুন হন সেই বাড়ির দারোয়ান পলাশ রুদ্র পালও জামিনে বাইরে রয়েছেন।