ই-গভর্নেন্সে: ৫ বছরে বাংলাদেশকে সেরা পঞ্চাশে চান জয়

ডিজিটাল সেবার বিস্তৃতি ও উন্নতি ঘটিয়ে বাংলাদেশ আগামী পাঁচ বছরে জাতিসংঘের ই-গভর্নেন্স উন্নয়ন সূচকে সেরা ৫০টি দেশের তালিকায় থাকবে বলে প্রত্যাশার কথা শুনিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2019, 08:41 AM
Updated : 20 Oct 2019, 10:37 AM

রোববার সকালে রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান রিপোর্ট প্রকাশ ও এটুআইয়ের তিনটি নাগরিক সেবা উদ্বোধন করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, “আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে জাতিসংঘের আইসিটি ইন্ডিকেটর ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সের সেরা ৫০ এর মধ্যে আসতে চাই আমরা। গত কবছরে আমরা (ডিজিটাল গভর্নেন্স ইনডেক্সে) ৪০-৫০ ধাপ এগিয়েছি। আগামী ৫ বছরে আমরা কেন আরও ৫০ ধাপ এগোব না?”

২০১৮ সালের জাতিসংঘের ই-গভর্নেন্স সার্ভে প্রতিবেদনে, ই-গভর্নেন্সে ডেভেলপমেন্ট সূচকে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে বংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। এই সূচকে সর্বোচ্চ অবস্থানে আছে ডেনমার্ক ও সর্বনিম্ন অবস্থানে সোমালিয়া। দুই বছর পর পর এই জরিপ চালায় জাতিসংঘ।

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার ১০ বছর পরে ই গভার্নমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করেছে আইসিটি বিভাগ।

সজীব ওয়াজেদ জয় এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলেন, “তখন কোনো কিছুই ডিজিটাইডজ হয়নি। আইসিটির ফান্ডামেন্টাল ডিজিটাল সার্ভিস, ডেটাবেইজ, স্থাপনা কিছু হয়নি। দশ বছর আগে করলে তা অফলদায়ী চর্চাই হত।”

ইনফো সরকার-৩ প্রকল্পের আওতায় সরকার সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। প্রায় সবগুলো শহরেই রয়েছে ফোরজি সেবা।

দেশের ‘আইটি সিস্টেম’ আধুনিক দাবি করেন প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ৩০০টি পৌরসভায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিতে চায়।

“ডিজিটাল মিউনিসিপ্যালিটি সার্ভিসে আমরা আরও অনেক সেবা যোগ করতে চাই। ২১ সালের মধ্যে নাগরিক সেবাগুলো মোবাইল ফোনে আঙ্গুলের ছোঁয়ায় অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে মাধ্যমে আমরা নাগরিক সেবাগুলো পৌঁছে দিতে চাই।”

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “সরকারের সব সেবাগুলোকে আমরা একই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে চাই। পর্যায়ক্রমে সরকারের ৩ হাজার সেবাকে আমরা একসাথে নিয়ে আসব।”

অনুষ্ঠানে আইসিটির ‘লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ’ প্রকল্পের আওতায় ১০০ দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ল্যাপটপ দেওয়া হয়।

পলক বলেন, দুই বছরের মধ্যে আইসিটি বিভাগ ৪০ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করবে। তাদের জন্য ৬ থেকে ১ বছরমেয়াদী প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।

স্কুল পর্যায়ে শিশু কিশোরদের প্রযুক্তি জ্ঞানে দক্ষ করতে ২০২১ সালের মধ্যে ৬৪টি শেখ কামাল আইটি ইউকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করবে আইসিটি বিভাগ।

বিশেষ অতিথি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম সরকারের ডিজিটাল সেবাগুলোর অটোমেশন চালু করতে আইসিটি বিভাগকে অনুরোধ করেন ।