শুক্রবার রাত ১০টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত তাদের অবরোধ চলছিল। এতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বেশ কিছু দূর পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে গাড়ি আটকে যায়।
বিক্ষোভের এক পর্যায়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরের ওপর চড়াও হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে গোয়েন্দা পুলিশ কিশোর কুমার নামে অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় বলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি। তবে পুলিশ এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি।
এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবীর ছাত্রদের উদ্দেশে বলেন, “আমাকে তোমরা মারতে এসেছ বলে হয়ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে আটক করতে পারে। কিন্তু আমি কথা দিচ্ছি যদি তারা কাউকে আটক করে থাকে, তবে তাকে আমিই দায়িত্ব নিয়ে ছাড়িয়ে আনব।”
হাসপাতলে ফিরোজের সঙ্গে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এস এম মোখলেসুর রহমান মিলন বলেন, “ফিরোজ ও তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করে ফিরছিল। তখন মোটরসাইকেলে দুজন এসে তাদের পথ আটকে দাঁড়িয়ে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
“ফিরোজ মোবাইল দিতে অস্বীকৃতি জানালে ছিনতাইকারীরা তাকে হাতুড়ি জাতীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। পরে একপর্যায়ে মোবাইল ফেলে রেখে ছিনতাইকারীরা চলে যায়।”
১২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধসহ কয়েকটি দাবির করছেন তারা।
এ বিষয়ে মতিহার থানার ওসি বলেন, “ছিনতাইকারীরা বহিরাগত না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এটা এখনও জানা যায়নি। তবে তারা ছিনতাই করতে আসেনি। ছিনতাই করলে তারা টাকা-পয়সা কেড়ে নিত। কিন্তু সেটাও করেনি। মাথায় আঘাত করেছে। তবে কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে নয়।
“বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি কোনো ধরনের প্রমাণ পাই। তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।”