শুক্রবার বিকালে অচেতন অবস্থায় ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা এই শিল্পীকে মৃত ঘোষণা করেন বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ড্রইং ও পেইন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র গায়েন জানান।
সমকালীন চিত্রশিল্পে নিরীক্ষাধর্মী শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত কালিদাস কর্মকারের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। চারুকলায় অবদানের জন্য সরকার ২০১৮ সালে এই শিল্পীকে একুশে পদকে ভূষিত করে।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন জানান, দুপুরে ইস্কাটনের বাসার বাথরুমে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় কালিদাস কর্মকারকে। পরিবারের সদস্যরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তার আগেই সব শেষ।
ল্যাবএইড হাসপাতালের একজন ডিউটি ম্যানেজার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বেলা ৩টার দিকে কালিদাস কর্মকারকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়।
বাংলাদেশের সমকালীন চিত্রশিল্পে ভিন্ন মাধ্যম ও আঙ্গিক প্রবর্তনে যারা অগ্রণী, কলিদাস কর্মকার তাদেরই একজন। ইয়োরোপীয় আধুনিকতার ঘরানার এই শিল্পী মিশ্র মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতে চেয়েছেন বাংলার মাটির পাললিক গল্প।
দেশে-বিদেশে এ শিল্পীর অন্তত ৭০টি একক প্রদর্শনী হয়েছে। এর বাইরে বহু গ্রুপ এক্সিভিশনেও তিনি অংশ নিয়েছেন। একুশে পদক ছাড়াও শিল্পকলা পদক, সুলতান স্বর্ণপদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।
অধ্যাপক নিসার হোসেন জানান, কালিদাস কর্মকারের মরদেহ রাতে রাখা হবে বারডেমের হিমঘরে। তার দুই মেয়ে কেয়া ও ও কঙ্কা কর্মকার যুক্তরাষ্ট্রে থঅকেন। তারা ফিরলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।