আবরার হত্যা: আরও তথ্যের আশায় অমিত সাহা ফের রিমান্ডে

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের মামলায় বুয়েট ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করবে গোয়েন্দা পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2019, 02:23 PM
Updated : 17 Oct 2019, 02:23 PM

বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত আইনবিষয়ক উপ-সম্পাদক অমিতকে গত ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল ডিবি।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকার আদালতে হাজির করে আরও সাতদিন হেফাজতে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, “অমিত সাহা ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। অন্য আসামিরা যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সেখানে তার নাম এসেছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য এ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।”

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে পুলিশের জিআরও এসআই মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। দফায় দফায় তাকে মারধর করা হয়েছে। অমিত সাহার নির্দেশে, প্রত্যক্ষ মদদে এ ঘটনা ঘটেছে তথ্য পাওয়া গেছে। পুনরায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে।”

গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হলে আবরারকে নির্যাতনের সময় অমিতের উপস্থিত না থাকার বিষয়টি তুলে ধরেন তার পক্ষের আইনজীবীরা।

রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু শুনানিতে বলেন, “অমিত সাহা সম্পূর্ণ নির্দোষ। এজাহারে তার নাম নেই, ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল না। পূজার ছুটিতে সে বাড়িতে ছিল। শুধু নামের কারণে এবং ফেইসবুকে কিছু বন্ধুর উস্কানির জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, ঘটনাস্থলে অমিত সাহা উপস্থিত ছিল না। এটা প্রি-প্ল্যানড মার্ডার ছিল না।

“তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। রিমান্ডের কোনো অগ্রগতি নেই। আর কোন কোন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তার নাম বলেছে, তা উল্লেখ করা হয়নি।”

কাঠগড়ায় অমিতের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ আসামি অমিত সাহাকে আরও তিন দিন হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

অমিত সাহার সঙ্গে মামলার এজাহারভুক্ত আসামি বুয়েটছাত্র হোসেন মোহাম্মদ তোহাকেও ১১ অক্টোবর রিমান্ডে নিয়েছিল ডিবি। রিমান্ড শেষে তাকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়নি।

তোহার জন্য নতুন রিমান্ডের আবেদন না জানিয়ে তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তোহা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন দাবি করে তার জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আইয়ুব হোসেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে জামিন আবেদন নাকচ করে তোহাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আবরারের বাবা বরকতউল্লাহ ১৯ জনকে আসামি করে যে মামলাটি চকবাজার থানায় করেছেন, তাতে যন্ত্র কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তোহার নাম আসামির তালিকায় রয়েছে।

পুর কৌশল বিভাগের ছাত্র অমিতের নাম এজাহারে না থাকলেও তা নিয়ে শুরু হয় আলোচনা; এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।