একই সঙ্গে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় দেয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন এ কে এম ফজলুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রেদোয়ান আহমদ।
আইজি নেভিগেশন ২০১০ সালে ১২ কোটি টাকার একটি পুরোনো জাহাজ বন্ধক রেখে বেসিক ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা থেকে ৭৪ কোটি ৯৬ লাখ ৯৫ হাজার ৩২০ টাকা ঋণ নিয়েছিল, যা ২০১৮ সাল পর্যন্ত সুদাসলে ১৪১ কোটি ৫ লাখ ৪৬ হাজার ১০৫ টাকা হয়।
এই ঋণ পরিশোধ না করায় ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক।
এ মামলায় সৈয়দ মোজাফফর হোসেন গত বছর ৪ এপ্রিল হাই কোর্ট থেকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তী জামিন নেওয়ার পর তা বাতিল চেয়ে চেম্বার আদালতে আবেদন করে দুদক।
গত বছর ১২ জুন চেম্বার আদালত এক মাসের মধ্যে ২৫ কোটি টাকা জমা দেওয়ার শর্তে সৈয়দ মোজাফফর হোসেনের জামিন বহাল রাখে।
পরবর্তীতে চেম্বার আদালতের আদেশ পুনর্বিবেচনা চেয়ে মোজাফফর আপিল বিভাগে আবেদন করলে ১৫ জুলাই আপিল বিভাগ তা খরিজ করে দেয়।
দুদক আইনজীবী এ কে এম ফজলুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সৈয়দ মোজাফফর হোসেন এখন পর্যন্ত কোনো টাকা জমা না দেওয়ায় হাই কোর্ট তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
“চেম্বার আদালতের আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হওয়ার পরই এই আসামি পলাতক। কারণ জামিনের শর্ত হিসেবে টাকা পরিশোধ না করার পরও তিনি আদালতে যাননি। ফলে তিনি পলাতক। নিম্ন আদালতে তাকে আত্মসমর্পণ করতেই হবে।”
এ মামলার অন্য দুই আসামি হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহজাবীন মোরশেদ ও বেসিক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম।
মাহজাবীন মোরশেদ সাবেক সংসদ সদস্য।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে পর্যাপ্ত সহায়ক জামানত না দিয়ে এবং শাখা কার্যালয়ের নেতিবাচক মতামত সত্ত্বেও ঋণ মঞ্জুর ও উত্তোলন করেন।
২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর সময় পর্যন্ত এই দুর্নীতির ঘটনা ঘটে। আর ঋণ আবেদনটি করেছিলেন মাহজাবীন মোরশেদ।