স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দুদকে তলব

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে দুর্নীতি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নয় কর্মকর্তা-কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 03:17 PM
Updated : 16 Oct 2019, 03:17 PM

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতি নিয়ে গঠিত অনুসন্ধান দলের প্রধান ও দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম তাদের তলব করে নোটিশ পাঠিয়েছেন বলে কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে ওই নয় জনকে আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ অক্টোবর তলব করা হয়।

যাদেরকে তলব করা হয়েছে তাদের মধ্যে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল, গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা মো. নাজিম উদ্দিন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. আবদুল মালেককে ২২ অক্টোবর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

আর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ইমদাদুল হক, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ল্যাব সহকারী আবদুল হালিম এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজের ‘সচিব’ আনোয়ার হোসেনকে ২৩ অক্টোবর তলব করা হয়।

অন্যদিকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ইপিআইয়ের হিসাবরক্ষক মজিবুর রহমান মুনশি ও ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু সায়েম মো. ইমদাদুল হক সাদেককে ২৪ অক্টোবর তলব করা হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো চিঠিতে তাদেরকে দুদকে হাজির করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করার পাশাপাশি দুদকে উপস্থিত হওয়ার দিন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজের, স্ত্রী ও সন্তানদের পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র, পরিচয়পত্র না থাকলে জন্মনিবন্ধন সনদ এবং আয়কর রিটার্নের অনুলিপি নিয়ে আসার জন্য বলা হয়েছে।

নয়জনের বিরুদ্ধে চিঠিতে অভিযোগ সম্পর্কে বলা হয়, “স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সিন্ডিকেট করে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও বিদেশে পাচার করেছেন।”

একজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা:

রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় বক্ষ্যব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুন্সি সাজ্জাদ হোসেনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে দুদক।

বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলমের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার (ইমিগ্রেশন) বরাবর পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে।

“বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাই তার বিদেশযাত্রা বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।”