আবরার হত্যামামলায় সাদাতও রিমান্ডে

আবরার ফাহাদ হত্যামামলায় গ্রেপ্তার বুয়েটছাত্র এ এস এম নাজমুস সাদাতকেও হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। এজন্য আদালতের কাছ থেকে তদন্ত কর্মকর্তা সময় পেয়েছেন পাঁচ দিন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 10:42 AM
Updated : 22 Oct 2019, 02:46 PM

বুয়েটের যন্ত্র কৌশল বিভাগের সপ্তদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদাত ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।

ওই ব্যাচেরই ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের পর তার বাবা যে মামলা করেছেন, তাতে আসামির তালিকায় নাম ছিল সাদাতের।

জয়পুরহাটের কালাই থানার কালাই উত্তরপারার হাফিজুর রহমানের ছেলে সাদাত হত্যাকাণ্ডের পর পালিয়ে গিয়েছিলেন।

‘ভারতে পাড়ি জমানোর চেষ্টাকালে’ মঙ্গলবার ভোরে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর থানার কাটলা বাজার এলাকা থেকে সাদাতকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে আসে পুলিশ।

বুধবার তাকে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন হেফাজতের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মোরশেদ আল মামুন ভুঁইয়া পাঁচ দিন রিমান্ডের আদেশ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন ওই আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এস আই মাজহারুল ইসলাম।

আবরার হত্যামামলায় সাদাতকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে কয়েকজন বিচারকের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নির্যাতিত আবরার ফাহাদকে নামানো হচ্ছে হল থেকে, এই নির্যাতনে নাজমুস সাদাতও ছিলেন বলে অভিযোগ

শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে এসেছে এসব ছাত্রলীগ নেতার জবানবন্দিতে।

আবরারের বাবা যে ১৯ জনকে আসামি করে ঢাকার চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেছিলেন, তাদের মধ্যে তিনজন এখনও পলাতক।

তারা হলেন- ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মাহমুদুল জিসান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বী তানিম এবং যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ।

এজাহারভুক্ত আসামিদের বাইরে জড়িতে সন্দেহে আবার চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৬ অক্টোবর আবরার হত্যাকাণ্ডের পর ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নামে বুয়েট শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবির মুখে মামলার আসামিদের সাময়িক বহিষ্কারসহ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

আবরার হত্যামামলার অভিযোগপত্র হওয়ার আগে ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আলোচিত এই মামলার অভিযোগপত্র নভেম্বরের মধ্যে দিতে পারবেন বলে তারা আশাবাদী।