ধর্ষণচেষ্টা: বরখাস্ত উপসচিবের জামিন নাকচ

ধর্ষণের মামলাকারী কলেজছাত্রীকে ফের ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাময়িক বরখাস্ত উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতনের জামিন আবেদন নাকচ করেছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2019, 10:27 AM
Updated : 16 Oct 2019, 10:27 AM

ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ বুধবার আসামি ও বাদীপক্ষের শুনানি নিয়ে তার জামিন আবেদন নাকচ করেন। চার দিন আগে গ্রেপ্তার রতনকে ফের কারাগারে নেওয়া হয়।

এক বছর আগে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রতনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন ওই কলেজছাত্রী। মামলাটি এখন ঢাকার একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই মামলা করার আগের মাসে রতনের বিরুদ্ধে তাকে মারধরের অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছিলেন ওই ছাত্রী।

দুই মামলাতেই ধানমন্ডি থানা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ার পর রতনকে সাময়িক বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর জের ধরেই বিবাহিত রতন তাকে ফের ধর্ষণের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রী।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তার মামলা ও অভিযোগের বিষয় জানালে তার জের ধরে গত ১ অক্টোবর সকালে তার থানমন্ডির বাসার দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। তিনি ‘সরল বিশ্বাসে’ দরজা খুলে দেন। আসামি তার ঘরে ঢুকে তার ডান হাতের কবজি মুচড়ে ধরেন এবং আঙুলে ব্যথা দেন। পরে তাকে আসামি ধষর্ণের চেষ্টা করেন।

এই মামলায় গত ১২ অক্টোবর সন্ধ্যার পর হাজারীবাগ এলাকা থেকে রেজাউল করিম রতনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন আদালতে তার জামিন আবেদন করা হলে বিচারক বুধবার শুনানির জন্য দিন রেখেছিলেন।

২০১৮ সালের ২৮ জুলাই ধানমন্ডি থানায় রেজাউল করিম রতনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় বলা হয়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আসছিলেন এই সরকারি কর্মকর্তা।

বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা রেজাউল করিম রতন ২০১৭ সালে মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালে ওই কলেজেরই ছাত্রী এই মামলার বাদীর সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ‘প্রতারণার’ ফাঁদে ফেলে রতন তাকে ধর্ষণ করেন এবং সেই ঘটনার ভিডিও আছে বলে হুমকি দিয়ে পরে এক বছর তাকে ধর্ষণ করে চলেন। পরে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ রতন উপসচিব পদমর্যাদায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে চলে আসেন।