পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন মঙ্গলবার তার দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, নবগঠিত মিয়ানমার অনুবিভাগের মহাপরিচালক দেলোয়ার হোসেন মঙ্গলবারই মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত লুইন উ কের কাছে ওই তালিকা হস্তান্তর করেন।
কিন্তু দুই দফা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি নিয়েও একজন রোহিঙ্গাকেও রাখাইনে তাদের ভিটেমাটিতে ফেরত পাঠানো যায়নি মিয়ানমার সেখানে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে না পারার কারণে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে যাচাই-বাছাইয়ের কাজ এগিয়ে রাখার জন্য মিয়ানমারকে নতুন এই তালিকা দেওয়া হল।
বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে, যাদের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা এসেছে ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে নতুন করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন শুরু হওয়ার পর।
জাতিসংঘ ওই অভিযানকে ‘জাতিগত নির্মূল’ অভিযান হিসেবে বর্ণনা করে আসছে। তবে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার সরকার।