আবরার হত্যা: মনিরের জবানবন্দি, রাফাত ফের রিমান্ডে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রলীগ নেতা মো. মনিরুজ্জামান মনির আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2019, 03:20 PM
Updated : 22 Oct 2019, 02:47 PM

মনিরের সঙ্গে একই দিনে গ্রেপ্তার শামসুল আরেফিন রাফাতকে আরও চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। আর আকাশ হোসেনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মনির ছিলেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাহিত্য সম্পাদক। আবরার হত্যাকাণ্ডের পর যে ১২ জনকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে, তার মধ্যে তিনিও রয়েছেন।

বাকি দুজনের মধ্যে আকাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষে এবং রাফাত মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আবরারের বাবা যে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেছিলেন, তাদের মধ্যে রাফাতের নাম না থাকলেও তদন্তে নেমে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে।

পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার এই তিনজনকে পুলিশ ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করলে মনিরুজ্জামান মনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

ঢাকার মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী তার খাস কামরায় ১৬৪ ধারায় মনিরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন বলে পুলিশের জিআরও শাখা থেকে জানানো হয়। 

এ মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা গোয়েন্দা পুলিশ রাফাতকে আরও সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পাশাপাশি আকাশকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে এসেছে গ্রেপ্তার কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার জবানবন্দিতে।

এ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে বুয়েটছাত্র মনিরুজ্জামান মনিরের আগে মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ও অনিক সরকার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

পুলিশ এ মামলায় মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাদের মধ্যে ১৬ জন এজাহারভুক্ত আসামি। আবরারের বাবার করা মামলার আসামিদের মধ্যে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ১৬তম ব্যাচের মাহমুদুল জিসান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের এহতেশামুল রাব্বী তানিম এবং যন্ত্র কৌশল বিভাগের ১৭তম ব্যাচের মোর্শেদ এখনও পলাতক।