সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে উপাচার্য এবং ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর টানা কর্মসূচিতে থাকা বুয়েট শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার জন্য কর্মসূচি দুদিন শিথিল করে। সোমবার সেই ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেছে।
কর্মসূচি স্থগিতের সময় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিল, তারা আন্দোলন থেকে পিছু হটছেন না, ১০ দফা দাবির বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ভর্তি পরীক্ষা শেষের পর সোমবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বৈঠক করেন। বুয়েটের এখনকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে মধ্যে পঞ্চদশ ব্যাচই সর্বজ্যেষ্ঠ, বৈঠকে মূলত তারাই ছিলেন।
এই ব্যাচের একজন ছাত্র প্রতিনিধি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে কি থাকবে না, সেই বিষয়ে আমরা আগামীকাল দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানাব।
“এর আগে সকালে ডিএসডব্লিউ (ছাত্র কল্যাণ উপদেষ্টা) স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করে আমরা আমাদের মতামত জানাব। ভিসি স্যারের সাথেও কথা বলব।”
কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন- জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি, আবার বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষিতে আন্দোলন থেকে সরেও আসতে পারি।”
তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্যাতনে মারা যাওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলে বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
দেশে প্রকৌশল শিক্ষার বনেদী এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও সমর্থন প্রকাশ করে।
তাদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আবরার হত্যার আসামিদের সাময়িক বহিষ্কার, হলগুলোতে নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অধিকাংশ দাবি পূরণের আশ্বাসের পরও আন্দোলনে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, দাবিগুলো বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত তারা আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না।
এছাড়া তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে আবরার হত্যার দ্রুত বিচার, যা বুয়েট প্রশাসনের হাতে নেই।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে সোমবারই বলা হয়েছে, নভেম্বরের মধ্যে আবরার হত্যামামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার বিষয়ে তারা আশাবাদী।