প্রকৌশল গবেষণায় নতুন আইনে সরকারের সায়

জাতীয় প্রয়োজনে প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্রসহ সব ধরনের অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন-রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণে প্রকৌশল গবেষণায় নতুন আইনে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2019, 01:53 PM
Updated : 14 Oct 2019, 01:53 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমাবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন, ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এটি একটি নতুন আইন এবং ধারণাটাও নতুন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে আমাদের কোনো গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান ছিল না।”

আইনের কাঠামোর বিষয়ে তিনি বলেন, “এ আইনের আওতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল থাকবে। এ কাউন্সিলের অনেকগুলো কাজের মধ্যে রয়েছে জাতীয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রকৌশল বিজ্ঞানের প্রায়োগিক ক্ষেত্র যেমন পূর্ত, যান্ত্রিক ও বৈদ্যুতিকসহ সকল প্রকার অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি, মালামালের নকশা প্রণয়ন, উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও গুণগত মান নির্ধারণ করা।”

কাউন্সিলের একটি অ্যাপেক্স বডি হিসেবে গভর্নিং বডি থাকবে জানিয়ে শফিউল আলম বলেন, “এ বডির ব্যবস্থাপনার জন্য একজন চেয়ারম্যান থাকবেন এবং পুরকৌশলবিদ, যন্ত্রকৌশলবিদ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশলবিদ, প্রশাসন ও অর্থনীতি বিষয়ক এবং প্রকৌশল ও অন্যান্য শাখা থেকে একজন মিলে পাঁচজন থাকবে। ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিউউট সংস্থা থেকে প্রতিনিধি এবং সরকার কর্তৃক মনোনীত প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বেসরকারি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি এবং যুগ্মসচিব পদমর্যদার একজন প্রতিনিধি থাকবেন । সব মিলয়ে ১০ জনের কমিটি থাকবে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রীকে চেয়ারম্যান ও সচিবকে ভাইস চেয়ারম্যান করে একটি উপদেষ্টা পরিষদও থাকবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ প্যানেলের বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়ার সুযোগও রাখা হয়েছে আইনে।

বাতিঘর আইন অনুমোদন

বাংলাদেশ বাতিঘর আইন, ২০১৯ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ১৯৮৭ সালের একটি পুরনো আইন ‘দ্য লাইটহাউজ অ্যাক্ট ১৯৮৭’ আপডেট করে মোটামুটি একই রকমের আইন করা হয়েছে। এখানে বড় কোনো পরিবর্তন নেই। ১৯৮৭ সালের প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে।”

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনে বন্দর বাতিঘর শব্দ যুক্ত করা হয়েছে, অর্থাৎ যেমন চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের একটি বাতিঘর থাকবে। বাতিঘর অঞ্চল বলতে সীমানাভুক্ত বাতিঘর এলাকা বলা হয়েছে। আর এটি ইংরেজি থেকে বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে।