পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় কোম্পানি হচ্ছে

পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পরমাণু শক্তি কমিশনের অধীনে কোম্পানি গঠনের বিধান রেখে নতুন একটি নীতির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2019, 12:14 PM
Updated : 14 Oct 2019, 12:22 PM

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনা-বিষয়ক জাতীয় নীতি, ২০১৯’ এর খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এ খসড়া নীতির বিভিন্ন দিক সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কোম্পানি (আরডব্লিউএমসি) গঠন করবে। বিশেষজ্ঞ এই কোম্পানির কাজ হবে বাংলাদেশের সকল তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করা।

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের প্রথম ইউনিটে রিঅ্যাক্টর বসানোর কাঠামো স্থাপনের কাজ শেষ।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়মের মতোই বাংলাদেশেও বর্জ্য উৎপাদনকারীদের উৎপাদিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবস্থাপনার জন্য অর্থ পরিশোধ করতে হবে। পারমাণবিক জ্বালানির পরিমাণ যুক্তিসঙ্গতভাবে সীমিত রাখতে হবে।

ব্যবহৃত জ্বালানি অন্তত ১০ বছর সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা জ্বালানি উৎপাদনকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ত্রুটিপূর্ণ জ্বালানি অ্যাসেমব্লি সিল করা বাক্সে সংরক্ষণসহ পরমাণু চুল্লির রিঅ্যাকটর কোরের পরিচালন সময়কালে যে কোনো সময় আনলোড করতে হবে এমন সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী গবেষণা চুল্লি, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট, চিকিৎসা শিল্প, খনিজ সম্পদ আহরণ, কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা, প্রশিক্ষণ বা বাণিজ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহার হয় বলে শফিউল আলম জানান।

“আমরা যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করি, এগুলোর মধ্যেও সীমিত পরিসরে অ্যাটমিক এনার্জি ব্যবহার করা হয়।”

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) আওতায় পাবনার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন আছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন,“আন্তর্জাতিকভাবে আইএইএ-এর গাইডলাইন অনুযায়ী এগুলো পরিচালিত হবে।অ্যাটমিক এনার্জি যেহেতু একটি স্পর্শকাতর ও বিপদজনক এনার্জি। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা গাইডলাইন দরকার।

“আইএইএ-এর যে গাইডলাইন আছে সেটার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। সেই অনুযায়ী এই নীতিমালাটা তৈরি করা হয়েছে। এটা দিয়ে যেন কোন রকম দুর্ঘটনা বা বিপদের মধ্যে না পড়তে হয়, সেটার জন্য। বর্জ্যটা ব্যবস্থাপনার জন্য বিশাল গাইডলাইন তৈরি করা হয়েছে।”

রূপপুরে দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “এটার যে বর্জ্য তা চুক্তি অনুযায়ী সরাসরি রাশিয়া, এটা আমরা ডিসপোজ (ধ্বংস) করব না। ওনাদের সাথে চুক্তি হয়েছে যেহেতু তাদের বিশাল দেশ, ডিসপোজালের অনেক জায়গা আছে, আমাদের ওরকম জায়গা নেই, আমাদের ঘণবসতিপূর্ণ জায়গা। চুক্তিতেই বলা হয়েছে, (পারমাণবিক বর্জ্য) তারা সিল করে নিয়ে যাবে এবং ওখানে নিয়ে ডিসপোজাল করবে।”