রোববার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ওবায়দুর রহমান জানান।
তিনি বলেন, “গুলিস্তান ও সায়েন্সল্যাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলার ঘটনায় এরা জড়িত।”
মহানগর পুলিশের মুখপাত্র উপ কমিশনার মাসুদুর রহমান সোমবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গ্রেপ্তার দুজন জেএমবি সদস্য। আজ সংবাদ সম্মলন করে তাদের পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।”
এ বছর ২৯ এপ্রিল রাতে গুলিস্তানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা হলে ট্রাফিক কনস্টেবল নজরুল ইসলাম, লিটন চৌধুরী ও কমিউনিটি পুলিশ সদস্য মো. আশিক আহত হন৷
আর গত ৩১ অগাস্ট মধ্যরাতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের যাত্রাপথে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তাতে একজন এএসআই এবং একজন কনস্টেবল আহত হন।
চলতি বছর পুলিশের ওপর আরও তিনটি হামলা ও হামলাচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ২৬ মে মালিবাগে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) কার্যালয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা পুলিশের গাড়িতে বোমার বিষ্ফোরণ ঘটলে এসআই রাশেদা খাতুন এবং এক রিকশাচালক আহত হন।
এরপর ২৩ জুলাই খামারবাড়ি এবং পল্টনে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে একই সময় দুইটি কার্টনে বোমার সন্ধান পায় পুলিশ। পরে সেগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়।
প্রতিটি ঘটনার পরই মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের পক্ষ থেকে হামলার দায় স্বীকারের খবর গণমাধ্যমে এলেও পুলিশ তা বরাবরই নাকচ করে বলেছে, এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে এ দেশীয় উগ্রপন্থিরাই।
গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মিশুক খান মিজান এবং নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা শিয়াচর এলাকা থেকে ফরিদ উদ্দিন রুমি নামের নব্য জেএমবির দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করার খবর জানায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। পরে তাদের মধ্যে রুমি পল্টনের বোমা উদ্ধারের মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুরনো খবর