“দুদকে এখন আর তদবির বাণিজ্য নেই, কেউ তদবির করতে সাহসও পান না,” বলেছেন তিনি।
রোববার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে দুদকের প্রয়াত চার কর্মকর্তা-কর্মচারীর শোকসভায় একথা বলেন ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, “অনেকের ধারণা রয়েছে, দুদকে যারা চাকরি করেন, তাদের অনেকের যথেষ্ট টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি রয়েছে। কিন্ত আজ আমরা জানছি যে, আমাদের মরহুম পরিচালক আবু সাঈদ এবং সহকারী পরিচালক সরদার মঞ্জুর আহম্মদের কোনো অর্থ-বিত্ত বাড়ি-গাড়ি নেই।”
দুদকের অধিকাংশ কর্মকর্তা-কর্মচারীই সততার সঙ্গে জীবন যাপন করছেন বলে দাবি করেন সংস্থার চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, “দুদকে তদবির নিয়ে অনেক কথা ছিল। আমি দৃঢ়ভাবেই বলতে পারি আপনাদের সকলের সহযোগিতায় বিগত সাড়ে তিন বছরে দুদকের তদবির বাণিজ্য শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।”
দুদকের কর্মকর্তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ কিংবা রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নেই বলেও দাবি করেন ইকবাল মাহমুদ।
তিনি বলেন, “আজ যদি মরহুম সাঈদ কিংবা মঞ্জুরের কোটি কোটি টাকা থাকত, তাহলেইবা কী হতো? তাহলে হয়ত তারা অন্যভাবে মূল্যায়িত হতেন। আমি বিশ্বাস করি, মানুষের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ তার জন্য সত্যিই বোঝা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মৃত্যুর পর এই সম্পদ নিয়েই কলহের সৃষ্টি হয়।”
প্রয়াত সহকর্মীদের থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতিটি মৃত্যুই আমাদের কিছু শিক্ষা দেয়। কীভাবে দুদকের এসব কর্মকর্তারা সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন, আজ তা শুনছি। কীভাবে তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের প্রতি আত্মত্যাগ করেছেন।
“আসুন, আমরা সবাই তাদের মতো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে কাজ করি।”
শোকসভায় অন্যান্যের মধ্যে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক আ ন ম আল ফিরোজ, পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন, উপ-পরিচালক মো. তালেবুর রহমান, মো. রফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন।