আবরার হত্যার আসামি মোয়াজ, শামীম ৫ দিনের রিমান্ডে

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি শামীম বিল্লাহ ও মোয়াজ আবু হোরায়রাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2019, 11:58 AM
Updated : 13 Oct 2019, 01:56 PM

রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) ওয়াহিদুজ্জামান আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন বলে দুই পক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।

আদালতে রিমান্ড বাতিল চেয়ে শামীমের পক্ষে আইনজীবী ফকির আব্দুল মজিদ ও মোয়াজের পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ কামরুল হোসেন জামিনের আবেদনে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) জামিন বাতিল করে রিমান্ড চান।

শামীমের আইনজীবী বলেন, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। দুর্ভাগ্যক্রমে তাকে মামলায় সম্পৃক্ত করা হয়েছে। পাশের রুম থেকে আসার পথে দ্বিতীয় ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখা গেছে। এ মামলায় ঘটনাস্থল থেকে যারা গ্রেপ্তার হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে শামীমের বিরুদ্ধে তারা কিছু বলে নাই। মামলাটির তদন্ত চলছে। নিরপেক্ষ তদন্ত হয়ে আসুক। এ অবস্থায় শামীমের রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

নিহত আবরার ফাহাদ

আইনজীবী কামরুল শুনানিতে বলেন, মোয়াজকে হলের করিডোরে আসা যাওয়ার পথে দেখা গেছে। যে আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে, তারা কেউ তার নাম বলেনি। জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হলে তাকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

আসামিপক্ষের আইনজীবীদের প্রতি উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, “রাত আড়াইটার সময় আসামিরা আসা-যাওয়া করছিল। তাদের এত পড়াশোনা! আসলে তারা সেখানে পাহারা দিচ্ছিল।”

উভয়পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কিছু বলার আছে কি না জানতে চাইলেও আসামিরা কোনো কথা বলেননি। এরপর আদালত আসামিদের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।

সাতক্ষীরা হয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় শুক্রবার বিকেলে শামীম বিল্লাহকে এবং শনিবার সকাল ১১টায় মোয়াজকে উত্তরা ১৪ নম্বরের একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।