সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রোববার হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করেন।
বিডিনিউজটেয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চে আজ রিট আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। আদালত তারিখ দিলে শুনানি হবে।”
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে রাজনীতি করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না তা জানতে রুল চেয়েছেন এই আইনজীবী।
একইসঙ্গে বুয়েটসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।
এছাড়াও নিহত বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ও রাজনৈতিক বিবেচনায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বুয়েট, ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহী ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনকে রিটে বিবাদি করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও নিষিদ্ধ করা উচিত।
“বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র শিক্ষার্থীদের উপর র্যাগিংয়ের নামে অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়; যা সংবিধানের ১১, ৩১, ৩২, ৩৪, ৩৫(৫), ৩৬, ৩৮, ৩৯ ও ৪০ অনুচ্ছেদ ও ঘোষণাপত্রের লঙ্ঘন। তাছাড়া সংবিধানের ৭, ২৬, ২৭, ২৮, ৩১, ৪০ ও ঘোষণাপত্র অনুযায়ী আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি বেআইনি ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত।”