আবরার হত্যা নিয়ে মন্তব্য: জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিবৃতির জন্য বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপ্পোকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Oct 2019, 06:32 AM
Updated : 13 Oct 2019, 01:00 PM

মিয়া সেপ্পো বুধবার বেলা ১১টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হাজির হয়ে জাতিসংঘ উইংয়ের মহা পরিচালক নাহিদা সোবহানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের ঢাকা অফিস যে বিবৃতি দিয়েছিল, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় আবাসিক প্রতিনিধির কাছে।

গত ৫ অক্টোবর দিল্লীতে হায়দ্রারাবাদ হাউজে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এসব চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করে ফেইসবুকে মন্তব্য করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ।

পরদিন রাতে বুয়েট শেরে বাংলা হলের একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী।  

বুধবার এক বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি স্বাধীন তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আহ্বান জানানো হয় জাতিসংঘের এক বিবৃতিতে।

রোববার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তলবের বিষয়ে প্রশ্ন করা হরে কোনো মন্তব্য করেননি মিয়া সেপ্পো।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে তারা দুটি বিষয়ে বলেছেন।

“প্রথমত, মুক্তভাবে নিজের মতপ্রকাশের জন্য বুয়েট ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করা হয়েছে জাতিসংঘের বিবৃতিতে, যা সঠিক নয়। ভারতের সঙ্গে করা চুক্তি নিয়ে অনেকেই নানা মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা-মন্তব্য করেছেন। সরকার কাউকে তার মত প্রকাশে বাধা দেয়নি। এমনকি আবরার খুন হওয়ার আগ পর্যন্ত সে ফেইসবুকে কী লিখেছে, তা সরকারের ধারণায় ছিল না।

“দ্বিতীয়ত, উন্নত বিশ্বে যখন কোনো ছাত্র হত্যার ঘটনা ঘটে, তখন তা নিয়ে জাতিসংঘকে কথা বলতে দেখা যায় না। বাংলাদেশে কোনো ঘটনা ঘটলেই তাকে মত প্রকাশের স্বাধীনতার সঙ্গে জড়ানো হয় কেন।”

এর আগে ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট ডিকসনকেও গত বৃহস্পতিবার একই কারণে তলব করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আবরার হত্যার ঘটনায় ‘শোক’ ও ‘দুঃখপ্রকাশ’ করে এক ফেইসবুক পোস্টে ব্রিটিশ হাই কমিশন বলেছিল, “যুক্তরাজ্য নিঃশর্তভাবে মুক্তবাক, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পক্ষে।