স্বজন পরিবহনের এক আবেদনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ রোববার এই আদেশ দেয়।
গত বছরের ৩ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের দুই বাসের রেষারেষিতে হাত কাটা পড়ে তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীবের।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ১৬ এপ্রিল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ২০ জুন এক রায়ে বিআরটিসি ও স্বজন পরিবহনের বাসকে এ দুর্ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী করে।
দুই বাসের কর্তৃপক্ষকে দুই মাসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা করে মোট ৫০ লাখ টাকা রাজীবের পরিবারকে পরিশোধ করতে বলা হয় ওই রায়ে।
প্রাথমিক বক্তব্য শুনে প্রধান বিচারপতি স্বজন পরিবহনের আইনজীবীকে বলেন, “এক মাসের মধ্যে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করে আসেন। তারপর আমরা আপনাদের বাকি বক্তব্য শুনব।”
শুনানি শেষে রুহুল কুদ্দুস কাজল জানান, আগামী ১৭ নভেম্বর বিষয়টি আবার শুনানির জন্য আপিল বিভাগে আসবে।
আইনজীবী শফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, “স্বজন পরিবহন হাই কোর্টের আদেশটি স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিল চেম্বার আদালতে। চেম্বার আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আজ শুনানির জন্য রেখেছিল। এর মধ্যে আমরা হাই কোর্টের আদেশের লিখিত অনুলিপি পেয়ে নিয়মিত লিভ টু আপিল করেছি।”
এ আইনজীবী বলেন, “সর্বোচ্চ আদালত ক্ষতিপূরণের দায় নিরূপণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে এত টাকা নিরূপণ করা ঠিক হয়নি। তবে এক মাসের মধ্যে আমাদের (স্বজন পরিবহনকে) ১০ লাখ টাকা রাজীবের দুই ভাইকে দিতে বলেছে।”