তিনি বলছেন, “দলীয় লেজুড়বৃত্তির কারণে ছাত্র রাজনীতির এই অবস্থা, তাছাড়া হল প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণেও স্বেচ্ছাচারিতা তৈরি হয়েছে।”
বুয়েটের শেরে বাংলা হলে ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ‘শিবির সন্দেহে’ বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িত কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠার পর সেখানে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি ওঠে। কয়েক দিন আন্দোলনের পর শুক্রবার বুয়েটের উপাচার্যের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠকে ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের ঘোষণা আসে।
পরদিন শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘লেজুড়বৃত্তির’ ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি তুললেন নূর, যিনি এক সময় ছাত্রলীগ করলেও কোটা আন্দোলনের সময় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মারধরের শিকার হন।
শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস বন্ধের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নূর বলেন, “ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ নয়, বরং ছাত্র রাজনীতির নামে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধ করে, দলীয় লেজুড়বৃত্তির সেই ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।”
আবরার হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরে পাঁচ দফা দাবি জানান তিনি। দাবিগুলো হলো-
>> আবরার হত্যাকাণ্ডসহ সব ছাত্র হত্যার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে সম্পাদন করা।
>> নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস বিনির্মাণে হলে হলে গণরুম, গেস্টরুম ও ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব বন্ধ করে প্রশাসনের মাধ্যমে প্রথম বর্ষ থেকে সিট বণ্টনের ব্যবস্থা করা।
>> সব বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান।
>> ভারতের সঙ্গে করা দেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
এবং
>> শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন নিশ্চিতে উপাচার্যসহ সব গুরুত্বপূর্ণ পদে ‘দলনিরপেক্ষ’ ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়ে প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম-আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন, ফারুক হাসান ও ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।