আবরার হত্যা: অমিত ও তোহা রিমান্ডে

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা এবং এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2019, 09:52 AM
Updated : 11 Oct 2019, 09:52 AM

ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সারাফুজ্জামান আনসারী  শুক্রবার ওই দুই শিক্ষার্থীর জামিন নাকচ করে রিমান্ডে পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকার সবুজবাগ এলাকা থেকে অমিত সাহা এবং গাজীপুরের মাওনা থেকে তোহাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ ।

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র অমিত বুয়েট ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক। আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হিসেবে তার নাম আসার পরও মামলায় তার নাম না থাকা নিয়ে গত দুদিন ধরেই নানা আলোচনা চলছিল।

আর যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তোহা এ হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি। বুয়েটের শেরোংলা হলের আবাসিক ছাত্র তোহাও ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত।

শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. ওয়াহিদুজ্জামান।

পুলিশের রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন এ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ।

অন্যদিকে দুই বুয়েট ছাত্রের পক্ষে রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী মো. আইয়ুব হোসাইন।

শুনানি শেষে বিচারক জামিন নাকচ করে দুই আসামিকে ৫ দিন  করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

বুয়েটছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহা ও এজাহারভুক্ত আসামি হোসেন মোহাম্মদ তোহাকে শুক্রবার আদালতে হাজির করে পুলিশ ।

তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে গত রোববার রাতে ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ মামলায় এ নিয়ে মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের উপ-সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল বৃহস্পতিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ এসেছে বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সকালের জবানবন্দিতে।

শুনানির পর অমিত আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নে দাবি করেন, ঘটনার দিন তিনি শাজাহানপুরে বন্ধুর বাসায় ছিলেন। আবরারকে পেটানো হবে বা মেরে ফেলা হবে- তা তিনি জানতেন না।