তিনি বলছেন, “সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠন দৈত্য-দানবের রূপ নিয়েছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে পিটিয়ে নির্মমভাবে তারা হত্যা করেছে।”
বুয়েটের শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে গত রোববার রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যারা বাংলাদেশে প্রকৌশল শিক্ষার সবচেয়ে বনেদি প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র।
তাদের সেই গুণের কথা উল্লেখ করেই ঐক্যন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য্য বলেন, “আবরার ফাহাদকে যারা হত্যা করেছে তারাও মেধাবী শিক্ষার্থী হলেও তারা পচে গেছে। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
এ ঘটনায় বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের সমালোচনা করেন এই বামপন্থি নেতা।
তিনি বলেন, “আবরার ফাহাদকে হত্যার পর ৩৬ ঘণ্টা পর্যন্ত ভিসি মহোদয় নীরব থাকলেন। তিনি এখানে সরকারি মন্দ কর্মচারীর পরিচয় দিলেন। তিনি শিক্ষক বা কোনো অভিভাবকের পরিচয় দিতে পারলেন না।”
সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্ট্রি জিয়াউদ্দিন তারেক আলী বলেন, সমাজে মূল্যবোধের ‘অবক্ষয়’ রোধ করা না গেলে আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো এমন আরও নিষ্ঠুর ঘটনা চলতে থাকবে।
“স্বাধীনতার পর থেকেই দেশে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। এটা এখনও চলমান। আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রীর যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে বড় বড় সমস্যারও সমাধান সম্ভব। এখন আমরা দেখছি ছাত্র রাজনীতিতে এক বিরাট অবক্ষয় তৈরি হয়েছে। যে কারণে একজন মেধাবী ছাত্রকে অন্য ছাত্ররা পিটিয়ে হত্যা করেছে।"
সবাই মিলে মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “একেবারে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সবাইকে মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।”
সমাজে নৈতিকতার বোধ ফিরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শোষণমুক্ত সমাজ গড়তে সম্মিলিত চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক তারেক আলী।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আজিজুর রহমানসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।