এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ন্যক্কারজনক’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেছেন, “যারা এ ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হবে, তারা যাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, এজন্য সরকার বদ্ধপরিকর।”
বুধবার সচিবালয়ে টিভি শিল্পী, নাট্যকার ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের সংগঠন ফেডারেশন অব টিভি প্রফেশনালস অর্গানাইজেশন্সের সঙ্গে মতবিনিময়ে আগে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, “এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, ইতোমধ্যেই তাদেরকে ছাত্রলীগ বহিষ্কার করেছে। কেউ দাবি তোলার আগেই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তি নিয়ে ফেইসবুকে সমালোচনামূলক পোস্ট দেওয়ার পর বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী আবরারকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশে অবশ্যই ভিন্ন মত থাকবে। ভিন্ন মত ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ হতে পারে না। ভিন্ন মত থাকবে, সমালোচনাও থাকবে।
“ভিন্ন মতের জবাব কোনোভাবেই আক্রমণ করে হয় না। এটা আমাদের সরকার সমর্থন করে না, আমাদের দলও সমর্থন করে না।”
তবে আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ যাতে ‘ঘোলাপানিতে মাছ শিকার’ করতে না পারে, সেদিকেও সরকার সজাগ বলে জানান হাছান মাহমুদ।
“আমরা অতীতেও দেখেছি যে, একটা কোনো ঘটনা ঘটলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার অপচেষ্টা চালায়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। এখনও সেই চেষ্টা হচ্ছে, এটা নতুন কিছু নয়। তবে কেউ এ ঘটনাকে পুঁজি করে কেউ ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করবে, সেটি হতে দেওয়া যাবে না।”