জিকে শামীমের কোম্পানির অধীনে বন্ধ প্রকল্পে ফের টেন্ডার হবে: গণপূর্তমন্ত্রী

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়ে মুদ্রা পাচার আইনসহ একাধিক মামলায় কারাবন্দী যুবলীগ নেতা হিসেবে আলোচিত জিকে শামীমের ঠিকাদারি কোম্পানির অধীনে বন্ধ হওয়া প্রকল্পগুলোতে আবার দরপত্র চাওয়া হবে বলে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2019, 12:15 PM
Updated : 22 Oct 2019, 01:28 PM

বুধবার সকালে নিজ কার্যালয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর সংক্রান্ত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের অনুসন্ধানে পাওয়া সুপারিশমালা হস্তান্তর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, “জিকে শামীমের অনেকগুলো প্রকল্প এখন চলমান। সে প্রকল্পের কিছু কিছু জায়গায় তারা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে- এই অজুহাতে যে, তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে, তাদের টাকা পয়সা নাই, কাজ করতে পারছেন না।

“আমরা তাদেরকে নোটিস দেব। যদি তারা এগিয়ে না আসেন। অসমাপ্ত কাজ পরিমাপ করে তার জন্য আবার টেন্ডার দেওয়া হবে।

এর মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়া কাজগুলোর মান পরীক্ষা করে যদি দেখা যায়, তা টেন্ডারের শর্ত পূরণ করছে না তাহলে সেসব সব কাজ গ্রহণ করা হবে না বলে জানান তিনি।

“যে কাজগুলি নিয়ে অনেক বেশি আলাপ- আলোচনা হয়েছে, প্রাসঙ্গিকভাবে বলতে পারি যে, এই কাজগুলি আমি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পূর্বের কাজ। এটা ধারাবাহিকতা, কাজ বুঝে নেব। কোনো কাজ সঠিক না হলে কাজ আদায় করে নেব।“

গণপূর্তমন্ত্রী জানান, জিকে শামীমের কোম্পানি জিকে বিল্ডার্সের সরকারের ৫৩টি ভবন নির্মাণ প্রকল্পে কাজ করছেন, যার মধ্যে ১৩টিতে তার কোম্পানি এককভাবে কাজ করছে, বাকিগুলো যৌথভাবে করছে।

তিনি বলেন, “উনি যে পরিমাণ কাজ করছেন তার চেয়ে বেশি টাকা কোথায়ও নেননি। আবার ধরেন উনি পাঁচ লাখ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন, উনার অনেক জায়গায় টাকা পাওনা আছে। আমরা অ্যাডজাস্ট করব।”

বন্ধ কাজগুলি কবে টেন্ডার দেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এতগুলো প্রকল্পতো। আশা করছি, দুই সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত প্রকল্পে নোটিস দেব।”

জিকে শামীমের অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “তাকে (দিকে শামীম) কোনো কাজ দেওয়া হয়নি। তার কোম্পানি ‘ইন ডিউ প্রসেস পার্টিসিপেট’ করেছে। আমাদের দায়িত্ব কাজ যথাযথভাবে তিনি করছেন কিনা সেটা দেখা।

“তিনি যদি অতি গোপনে বা আমাদের ‘নলেজের’ বাইরে কাউকে উৎকোচ দিয়ে থাকেন, সেটা কিন্তু আমার ধরার মত অবস্থা নাই।”

এধরনের কোনো অভিযোগ এলে তদন্ত করে খতিয়ে দেখা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “সেই বিষয়গুলি অনেকটা যত্নশীলতার সঙ্গে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।

“এখন কিছু কিছু ব্যাপারে যখন দুদক একটা ইনকোয়ারিতে আছে, আমরা আরেকটা ইনকোয়ারিতে যাব না। একারণে যাব না... আমি নিজে আইনজীবী, আমি বুঝি- ‘ডাবল স্ট্যান্ডার্ড’- দুইটা জায়গা আসা যাবে না।”

মন্ত্রী বলেন, “একটা তদন্ত রিপোর্ট আমার কর্মকর্তা আমাকে দিল। যেটা দুদকে রিপোর্টের সঙ্গে মিশছে না। এই ফাঁকে কিন্তু যিনি অভিযুক্ত তিনি পার পেয়ে যাবেন, দুটি রিপোর্টের ফাঁকের সুযোগ নিয়ে।

“কাজেই ইনভেস্টিগেশন করার প্রপার অথরিটি কিন্তু পুলিশ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন। ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়ে তারা ইনভেস্টিগেশন করছে। আমরা সহায়তা করব আর ডিপার্টমেন্টের প্রসেসে যেগুলি নেওয়ার মতো ব্যবস্থা আছে, সেটা আমরা গ্রহণ করছি।”