বুধবার সকালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে অবকাশ ভবনের সামনে এলে ছাত্রলীগের কর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় মরধরে ছাত্রদলের সাতজন নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।
আহতদের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলি হাওলাদার, মিজানুর রহমান শরীফ ও কর্মী জাহিদকে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক জানিয়েছেন।
এদিকে হামলার পর পুলিশ গিয়ে ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক আলী হাওলাদার ও ছাত্রদলকর্মী জাহিদকে আটক করে। পরে দুপুরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনা সম্পর্কে ছাত্রদল সভাপতি রফিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আবরার হত্যার প্রতিবাদে ও ক্যাম্পাসে সহাবস্থানের দাবিতে আমরা ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম। ছাত্রলীগ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। আমাদের ৫-৭ জন আহত হয়েছে, তাদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত। পুলিশ আমাদের দুইজনকে আটকও করেছে।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসলে তেমন কিছু হয়নি, ধাওয়া দিয়েছিল। পড়ে গিয়ে ব্যথা পেয়েছে। পুলিশ উদ্ধার করে তাদের ট্রিটমেন্ট করেছে, কাউকে আটক করেনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আহত একজনের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি আমরা।
“কেউ যদি এ ব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ দেয় তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। আমরা এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। ক্যাম্পাস থেকে পুলিশ কাউকে আটক করেনি।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সম্পাদক শেখ রাসেলের সমর্থকদের সংঘর্ষের পর ওই দিনই কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। পরে ১৯ ফেব্রুয়ারি বিলুপ্ত করা হয় এ কমিটি।
ওই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আখতার হোসেন ও সৈয়দ শাকিলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মিনুন মাহফুজ ও মাহমুদের নেতৃত্বে এই হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতারা জানান।
এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আখতার ও শাকিলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুজনই হামলায় তাদের কর্মীদের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেন। মিনুন ও মাহমুদ তাদের কর্মী নয় বলেও দাবি করেন তারা।
তবে ঘটনার পরপর মিনুন মাহফুজ হামলার একটি ছবি ফেসইবুকে শেয়ার করে তা আখতার হোসেনকে ট্যাগ করেছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর থেকে তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টটি আর পাওয়া যায়নি।