আনসার সদস্য হত্যায় ১৭ বছর পর ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

সতের বছর আগে রাজধানীর শ্যামলীতে আনসার বাহিনীর সদস্য ফজলুল হককে গুলি করে হত্যার মামলায় তিন ছিনতাইকারীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2019, 09:59 AM
Updated : 9 Oct 2019, 09:59 AM

বুধবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- পাপ্পু ওরফে অন্তু, মো. তরিকুর রহমান ওরফে শিবলী ওরফে উজ্জল, মো. শুক্কুর আলী ওরফে সোহেল। তারা সবাই পলাতক।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবু আবদুল্লাহ ভূঞা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঘটনার সময় পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল জলিল ফরাজীকে গুলি করে হত্যা চেষ্টার আরেক অভিযোগে আসামি শুক্কুর আলী সোহেলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাস সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

রায়ের বিবরণে বলা হয়, ২০০২ সালের ১৩ মার্চ দুপুর পৌনে একটার দিকে শ্যামলীতে মিরপুরে রোডে ‘দূর দূরান্ত’[নামের বাসের কাউন্টারে ছিনতাই চেষ্টায় বাধা দেন আনসার সদস্য ফজলুল হক ও পুলিশ কনস্টেবল আব্দুল জলিল।

ওই সময় ছিনতাইকারীদের গুলিতে আহত হয়ে রাস্তায় পড়ে যান ফজলুল হক। আর কনস্টেবল জলিলের সঙ্গে এক ছিনতাইকারীর ধ্বস্তাধস্তি হয়; তাকেও গুলি করা হয়। পরে ছিনতাইকারীরা বিএনপি বস্তির দিকে পালিয়ে যায়।

আহত দুইজনকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট নেওয়ার পর সেখানে আনসার সদস্য ফজলুল হক মারা যান।

এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হওয়ার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর আসামি পাপ্পু ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে জানিয়েছিলেন, অন্য দুইজনের গুলিতেই ফজলুল হক মারা যান।

পরে তিন আসামিই জামিন নিয়ে পলাতক হন।

মামলার বিচারের সময় রাষ্ট্রপক্ষের আটজনের জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।