বুধবার আলাদা বিবৃতিতে এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দার পাশাপাশি বিচার প্রক্রিয়ায় অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্তের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, “মুক্তভাবে নিজের মতপ্রকাশের জন্য বুয়েটের তরুণ ছাত্রকে খুন করার নিন্দা জানায় জাতিসংঘ। বাংলাদেশে শিক্ষাঙ্গনে চলমান বহু বছরের সহিংসতায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন, যেসব ঘটনায় দায়ীদের দৃশ্যত দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে।“
সন্দেহভাজন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কর্তৃপক্ষের নেওয়া উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে সংস্থাটি স্বাধীন তদন্তের উপর জোর দিয়েছে, যার ফলে ‘সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় বিচার’ এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত হয়।
এদিকে বুয়েটে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ‘শোক’ ও ‘দুঃখপ্রকাশ’ করে ফেইসবুক পোস্টে ব্রিটিশ হাইকমিশন বলেছে, “মুক্তবাক, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পক্ষে যুক্তরাজ্যের নিঃশর্ত অবস্থান রয়েছে।”
রোববার গভীর রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ফেইসবুকে মন্তব্যের সূত্র ধরে শিবির সন্দেহে আবরারকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই ঘটনায় বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারাসহ মোট ১৯ জনের নামে চকবাজার থানায় মামলা করেছেন আবরারের বাবা।