দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর এলাকার স্বল্পকালীন এই বন্যা হতে পারে বলে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানিয়েছেন।
এবার বর্ষায় (জুলাইয়ে) টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট, সুনামগঞ্জ, গাইবান্ধা, জামালপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও মুন্সীগঞ্জসহ ২৮টি জেলা প্লাবিত হয়। বন্যায় শতাধিকের মৃত্যুর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩০ লাখের বেশি মানুষ।
আশ্বিনের মাঝামাঝিতে এসে মৌসুমি বায়ু বিদায়বেলায় প্রায় প্রতিদিনই সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। রোববার দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ভোলায় ৬০ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১৭ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আরও দুই-তিন দিন এই বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
দেশের উজানে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সিকিম, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশেও বৃষ্টি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া।
“এ পরিস্থিতিতে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে পদ্মা অববাহিকার রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া ও নাটোর এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার শঙ্কা রয়েছে। বুধ-বৃহস্পতিবারের দিকে এ বন্যা দেখা দিতে পারে।”
মৌসুমি বায়ু দেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় ও উত্তর বঙ্গোপসাগারে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বর্ষার শেষ সময়ে এসে এখন কয়েক দিন বৃষ্টি বেড়েছে। হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি আরও দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকবে। সেপ্টেম্বরের এ সময়ে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিক।”
হেমন্তের কাছাকাছিতে প্রকৃতিতেও হিম হিম ভাব শুরু হয়েছে। হালকা বৃষ্টিতেই এখন শীতের অনুভূতি হচ্ছে।
সোমবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায়, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হতে পারে।