এই দুই মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে দুই মামলায় আরও দশ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড চান তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ কমিশনার বেলায়েত হোসেন।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম দিদারুল আলম অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় পাঁচ দিন করে মোট দশ দিনের রিমান্ডে নিয়ে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ড আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান। অন্যদিকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদের পক্ষে এর বিরোধিতা করেন আইনজীবী মাহমুদুল হক।
শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ড মঞ্জুর করে আসামিকে সতর্কতার সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা দেন।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক শাফিউল্লাহ বুলবুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে খালেদকে ‘রুটিন চেকআপের জন্য’ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে নেওয়া হয়। পরে তাকে আবার র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় যুবলীগ নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করার পর আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটির প্রভাবশালী নেতা খালেদকে ধরতে অভিযান নামে র্যাব।
১৮ সেপ্টেম্বর গুলশানের বাসা থেকে খালেদকে গ্রেপ্তার করার পর ৫৮৫টি ইয়াবা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা এবং অবৈধ অস্ত্র পাওয়ার কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে।
একই সঙ্গে অভিযান চলে ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে। শাহজাহানপুরের রেলওয়ে কলোনিতে বেড়ে ওঠা খালেদ ফকিরাপুলের ওই ক্লাবের সভাপতি।
কয়েক ঘণ্টার অভিযানে ওই ক্লাবে মদ আর জুয়ার বিপুল আয়োজন পাওয়া যায়। সেখান থেকে ২৪ লাখ টাকাও উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় অস্ত্র, মাদক ও মুদ্রাপাচার আইনে খালেদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয় গুলশান থানায়। আর মতিঝিল থানায় মাদক আইনে করা হয় আরেকটি মামলা।
ওই মামলায় খালেদকে ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে বিচারক অস্ত্র মামলার চার দিন এবং মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
খালেদকে ইতোমধ্যে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে যুবলীগ।