গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং অতিরিক্ত প্রকৌশলী আব্দুল হাইর ব্যাংক হিসাব তলব করে মঙ্গলবার ব্যাংকগুলোকে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট -বিএফআইইউ।
গত শুক্রবার নিকেতনের কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার জিকে শামীমের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ একদিন আগেই দিয়েছিল বিএফআইইউ।
র্যাব সদর দপ্তর, সচিবালয় ও কয়েকটি হাসপাতালের নতুন ভবনসহ সরকারি অন্তত ২২টি নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি কাজ এখন শামীমের প্রতিষ্ঠান জিকে বিল্ডার্সের হাতে রয়েছে। এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
শামীম যুবলীগ নেতার পরিচয়ে গণপূর্ত অধিপ্তরের কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাধারণত কোনো ঘটনার পর যাদের নাম জড়িয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং মিডিয়ায় খবর আসে তাদের ব্যাংক লেনদেনের বিষয়ে আমরা খোঁজ-খবর নিয়ে থাকি।
“তারই ধারাবাহিকতায় এই দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অর্থাৎ তাদের ব্যাংকে কত টাকা আছে, টাকার উৎস, এ সবই খতিয়ে দেখা হবে।”
“আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজস্ব ডাটাবেইজ আছে। সেখানে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে। একইসঙ্গে সব ব্যাংককে এই দুজনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানাতে বলা হয়েছে,” বলেন তিনি।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অনুরোধে দুই প্রকৌশলীর ব্যাংক হিসাব তলব করা হচ্ছে বলে জানান রাজী হাসান।
এদিকে শামীম গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রকৌশলী রফিকুল ও হাই গা ঢাকা দিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল অবসরে যান।
সম্রাট-শাওনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট এবং যুবলীগের সাবেক নেতা ও ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বিএফআইইউ।
সোমবার এই দুজন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করতে বলেছিল বিএফআইইউ।
খতিয়ে দেখার পর এই দুজনের ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেনের তথ্য পাওয়ার পর তাদের হিসাব জব্দ করা হয়েছে বলে রাজী হাসান জানান।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবের ক্যাসিনোয় অভিযান চালায় র্যাব। ক্লাবটির সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওই অভিযানেই অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনায় সম্রাটসহ যুবলীগের নেতাদের জড়িত থাকার তথ্য বেরিয়ে আসে। তারই এক পর্যায়ে গ্রেপ্তার করা হয় জিকে শামীমকে।
আরও খবর