স্পা থেকে গ্রেপ্তার দুইজন রিমান্ডে, ১৬ নারী কারাগারে

অবৈধভাবে ম্যাসাজ পার্লার চালানোর অভিযোগে মানব পাচার আইনে গ্রেপ্তার লাইফ স্টাইল স্পার রুহে আলমকে তিন দিন এবং ম্যানগো স্পার আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2019, 05:41 PM
Updated : 23 Sept 2019, 05:41 PM

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম সোমবার পুলিশের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এছাড়া রোববার ঢাকার তিন স্পা থেকে গ্রেপ্তার ১৬ নারীর জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

রোববার রাতে গুলশান-১ নম্বর মোড়ের নাভানা টাওয়ারের ১৯ তলায় লাইফ স্টাইল স্পা, ২০ তলায় রেসিডেন্স সেলুন টু অ্যান্ড স্পা এবং ২১ তলার ম্যানগো স্পায় অভিযান চালিয়ে ওই ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মানবপাচার আইনে পৃথক মামলা করার পর সোমবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়।

এর মধ্যে একটি মামলায় আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের নিতে এবং মামলার অপর এক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন গুলশান থানার এসআই মশিউর রহমান।

আবেদনে তিনি বলেন, “নাভানা টাওয়ারের ম্যাংগো স্পা যৌনপল্লী হিসেবে ব্যবহার করে আসামিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের সেখানে সেখানে একত্রিত করছিল এবং যৌন শোষণ ও নিপীড়নমূলক কাজ পরিচালনা করে আসছিল।

“পলাতক আসামি সুমন কিং খান ও রায়হানের নির্দেশে আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে এ কাজ করে আসছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য আসামিরা যৌনপল্লী পরিচালনা করে অন্যায়ভাবে লাভবান হচ্ছিল।”

অন্য মামলায় লাইফ স্টাইল স্পা থেকে গ্রেপ্তার রুহে আলমকে ৫ দিনের রিমান্ডে চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই আনোয়ার হোসেন। এ মামলার অপর দশ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করেন তিনি।

এছাড়া রেসিডেন্স সেলুন টু অ্যান্ড স্পা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচজনকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন অপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই ছিদ্দিক আহম্মদ।

আবেদনে বলা হয়, নুরুল ইসলাম নাহিদ ওই ‘অস্থায়ী যৌনপল্লীর’ সকল কার্যক্রমের আয়োজক। তার নির্দেশে আসামিরা এসব অপকর্ম করে আসছিল। অভিযান চালানোর সময় নাহিদসহ দুই-তিনজন পুরুষ দৌড়ে পালিয়ে যায়।

আসামি রুহে আলম ও আসাদুজ্জামানের আইনজীবীরা রিমান্ডের বিরোধিতা করে তাদের জামিনের আবেদন করলেও শুনানি শেষে বিচারক তা নাকচ করে দেন।