বনের জমি দখল, আরেক মামলায় বিচারের মুখে ফালু

জালিয়াতি করে বন বিভাগের জমি দখল করার মামলায় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য মোসাদ্দেক আলী ফালুকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Sept 2019, 12:10 PM
Updated : 23 Sept 2019, 12:23 PM

সোমবার কমিশন থেকে এ অনুমোদন দেওয়া হয় বলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “শিগগিরই এ অভিযোগপত্র সংশ্লিষ্ট আদালতে দাখিল করা হবে।”

অভিযোগপত্র উপস্থাপনের পর আদালত যদি অভিযোগ গঠন করে, তবে শুরু হবে বিচার।

সাবেক সংসদ সদস্য ফালুসহ সাতজনকে আসামি করে মামলাটির অভিযোগপত্র দিতে যাচ্ছে দুদক।

অন্যরা হলেন- ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সাবেক সাব-রেজিস্ট্রার মো. ফজলার রহমান (সাময়িক বরখাস্ত), জমির দলিল লেখক মো. আকরাম হোসেন জুয়েল, জমির ‘ভুয়া’ মালিক মো. রুহুল আমিন, মো. খোকা মিয়া, সুফিয়া খাতুন ও ফাতেমা খাতুন।

মোসাদ্দেক আলী ফালু (ফাইল ছবি)

ভালুকা থানার পালগাঁও মৌজায় ছয়টি দলিলের মাধ্যমে ৯ দশমিক ৬৪ একর জমি বেআইনিভাবে ফালুর নামে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে ২০১৭ সালের ২৯ অক্টোবর স্থানীয় থানায় ছয়টি মামলা করে দুদক।

ওই জমি দলিল করতে সহায়তা করার অভিযোগে আরও ১৫ জনকে এসব মামলায় আসামি করা হয়। ছয়টি মামলার মধ্যে এর আগে তিনটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে দুদক।

সোমবার আরেকটি মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন পেল।  দুদকের ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাম প্রসাদ মণ্ডল এই মামলাটি তদন্ত করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, একটি দলিলের মাধ্যমে ওই এলাকার বন বিভাগের প্রায় ৭৬ শতাংশ জমি ফালুর নামে দলিল করা হয়।

দুদক জানায়, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর ভালুকা উপজেলা ভূমি অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে সংরক্ষিত বনভূমি হিসাবে চূড়ান্তভাবে ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত গেজেটভুক্ত ওই জমি হন্তান্তর, নামজারি, জমা-খারিজ, রেকর্ড সংশোধন ইত্যাদি কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।

একইসঙ্গে বন বিভাগের গেজেটভুক্ত জমি রেজিস্ট্রি করা হয়ে থাকলেও তা বাতিল করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়কে বলা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তির পরও সাব রেজিস্ট্রার ফজলার রহমান আইন ও বিধি বিধান অনুসরণ না করে অবৈধ সুবিধা নিয়ে দালাল চক্রের যোগসাজশে ছয়টি দলিলে রেজিস্ট্রি করে সরকারি সম্পত্তি ফালুকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সারেন মামলায় অভিযোগ করা হয়।