পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজ আল ফারুক জানান, সোমবার বিকাল থেকে নির্বাহী হকিমের নেতৃত্বে তেজগাঁওয়ের ফু-ওয়াং ক্লাব, মগবাজারের পিয়াসী বার ও বাংলা মোটরের গোল্ডেন ড্রাগনে পুলিশ অভিযান চালায়।
প্রায় দুই ঘণ্টা তল্লাশি শেষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার হাবিবুন্নবী আনিসুর রশিদ বলেন, ফু-ওয়াং ক্লাবে তারা অবৈধ কোনো কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাননি।
“সেখানে ক্যাসিনো রয়েছে কিনা বা সেখানে জুয়া খেলা হয় কিনা সেজন্য আমরা অভিযান চালিয়েছিলাম। কিন্তু সেটা পাইনি। বিধি বহির্ভূত কিছু আমরা সেখানে পাইনি।”
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফু-ওয়াং ক্লাবে একটি বার রয়েছে। তবে তারা লাইসেন্স নিয়েই বার চালাচ্ছে।
ঢাকায় যুবলীগ নেতাদের ‘৬০টি ক্যাসিনো চালানোর’ খবর সংবাদমাধ্যমে আসার পর গত বুধবার ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবসহ চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, কয়েক লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করে র্যাব।
অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে ওই ক্লাবের সভাপতি যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার মাঠে নামে পুলিশ। ঢাকার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব ও আরামবাগ ক্রীড়া সংঘে অভিযান চালিয়ে প্রতিটি জায়গায় ক্যাসিনোর সরঞ্জাম পায় তারা।
পরে রোববার রাতে গুলশানের তিনটি স্পায় অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কের পথে রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, মাদক, অনিয়ম, দুর্নীতির চক্র না ভাঙ্গা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে যেতে হবে।