ক্লাবের পর স্পায় অভিযানে পুলিশ

অবৈধ ক্যাসিনো বন্ধে ক্রীড়া ক্লাবগুলোতে হানা দেওয়ার পাশাপাশি স্পায়ও অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Sept 2019, 03:48 PM
Updated : 22 Sept 2019, 05:56 PM

রোববার দুপুরে মতিঝিলে চারটি ক্লাবে অভিযানের পর রাতে গুলশানের তিনটি স্পায় অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে আটক করা হয়। একই সময়ে মতিঝিলে একটি ভবনেও অভিযানে যায় পুলিশ।

রাত ৮টার দিকে গুলশান-১ নম্বর মোড়ের নাভানা টাওয়ারের ১৯ তলায় লাইফ স্টাইল স্পা, ২০ তলায় রেসিডেন্স সেলুন টু অ্যান্ড স্পা এবং ২১ তলায় ম্যানগো স্পায় চলে পুলিশের অভিযান।

ক্লাবে অভিযানের পর রোববার ঢাকার গুলশানে নাভানা টাওয়ারে তিনটি স্পায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি:মাহমুদ জামান অভি

ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অবৈধভাবে ম্যাসাজ পার্লার করার অভিযোগ পেয়ে এই অভিযান চালানো হয়।

“এখানে স্পা ও সেলুনের আড়ালে অসামাজিক কর্মকাণ্ড চলছিল। এখান থেকে তিনজন পুরুষ এবং তিনটি স্পায় কর্মরত ১৬ জন নারীকে আটক করা হয়েছে।”

অবৈধভাবে ম্যাসাজ পার্লার চালানোর অভিযোগে গুলশান-১ নম্বরের নাভানা টাওয়ারে স্পা ও সেলুন থেকে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ছবি:মাহমুদ জামান অভি

অভিযান শেষে প্রতিষ্ঠান তিনটি সিলগালা করে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সুদীপ।

প্রতিষ্ঠানটির মালিক কে কারা, তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। তাদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে, বলেন সুদীপ।

ক্লাবে অভিযানের পর রোববার ঢাকার গুলশানে নাভানা টাওয়ারে তিনটি স্পায় অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি:মাহমুদ জামান অভি

চাঁদাবাজি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষের বার্তা পাওয়ার পর গত বুধবার ঢাকার মতিঝিলের দুটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ক্যাসিনো পাওয়ার কথা জানায় র‌্যাব। ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত যুবলীগের দুই নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর র‌্যাবের কয়েকটি অভিযান চলার পর রোববার পুলিশ নামে ক্লাবে অভিযানে; দুপুরে তারা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবসহ মতিঝিলের চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সামগ্রী পাওয়ার কথা জানায়।

মতিঝিলের অভিযানের পর রাতে গুলশানে স্পায় অভিযানের ঘণ্টাখানেকের মধ্যে বিজয়নগর সায়েম টাওয়ারে অভিযানে যায় পুলিশের আরেকটি দল।

ভবনটির অষ্টম তলায় জুয়া খেলারত ১৫ জনকে আটক করা হয় বলে ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অষ্টম তলার ফিল্ম ক্লাবে জুয়া খেলা অবস্থায় ১৫ জনকে আমরা আটক করেছি।”

সেখানে জুয়ার সরঞ্জাম ও ১২ হাজার টাকা পাওয়ার কথা জানালেও ক্যাসিনো জাতীয় জুয়ার বোর্ড বা চিপস পাওয়া যায়নি বলে এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।